করোনা মোকাবিলায় কল্যাণী পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং

কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় একদিকে যেমন লড়াই করে চলেছেন ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী সহ গোটা দেশের মানুষ, তখন পিছিয়ে নেই এই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। যার মধ্যে অন্যতম জেআইএস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস।
কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় এবার পথে নামল জেআইএস গ্রুপের অধীনস্থ জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, কল্যাণী। কল্যাণী পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এলাকার বাজারগুলিতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ও করোনাভাইরাসকে দূরে রাখতে কাজ করে চলেছে তারা।
কল্যাণীর সবচেয়ে বড় দুটি বাজার হল এ ব্লকের কেডি মার্কেট ও বি ব্লকের ২ নম্বর মার্কেট। মুলত এই দুই বাজার থেকেই কল্যাণীর অধিকাংশ বাসিন্দা তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন। এবার এই বাজারে পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুরসভার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুটি বাজারেই বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে, যাতে বেশি মানুষ একসঙ্গে বাজারের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারেন। এছাড়াও বাজারে ঢোকা ও বেরনোর জন্য আলাদা আলাদা দুটি এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়াও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের করোনা সম্বন্ধে অবগত করার কাজও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। একে অপরের থেকে অন্তত ১ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে নাক ও মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হচ্ছে মাস্ক। বাজারে ঢোকা ও বেরনোর আগে সাধারণ মানুষকে হাত পরিষ্কার করার জন্য দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
রাস্তার পাশের ফল ও সব্জি বিক্রেতাদের কাছের স্কুল মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ও একটি ছাউনির নিচে তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই সঙ্গে দোকানের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাজারে ঢোকার মুখে দুটি অটোমেটিক ডিসইনফেক্টেন্ট দরজাও খুব তাড়াতাড়ি বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে কলেজের তরফ থেকে। এছাড়াও জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মহিলা সেল ১০ হজার মাস্ক তৈরি করেছে। যার মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার মাস্ক ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।

 

Comments are closed.