ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কী হবে? ইদানীং অনেক ছাত্র-ছাত্রীর মনেই ভিড় করে এই প্রশ্ন। বর্তমান সময়ে ইঞ্জিনিয়ারের সত্যিই কি কোনও চাহিদা নেই? এই প্রশ্ন থেকেই অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনোলজি নিয়ে পড়তে চায় না। কিন্তু সেই ভুল ভেঙে দিচ্ছে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেআইএস।
জেআইএস কর্ণধাররা জানাচ্ছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চাহিদা যথেষ্টই আছে। তবে তার জন্য কিছু জিনিস অবশ্য মেনে চলতে হবে। যার ফলে পড়ুয়াদের কেরিয়ারে দ্রুত সাফল্য আসবে। যেমন, ছাত্র-ছাত্রীকে সময়পোযোগী হতে হবে। সময়পোযোগী বলতে বর্তমান সময়ে যে সমস্ত জিনিসের চাহিদা, তার ওপরেই বেশি জোর দিতে হবে। এই সময়ে একটা কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হল ইন্ডাস্ট্রি ৪.০। তার মানে, ফোর্থ এডিশন। অর্থাৎ, প্রতিটি বড় বড় কোম্পানি আইসিটি এনাবেল লোক চায়। তার কারণ হল, এর ফলে কাজ দ্রুত শেষ হবে। সেই সঙ্গে নিঁখুত কাজও হবে। তাই এখন সাপ্লাই নির্ভর শুধু নয়, চাহিদা ওরিয়েন্টেড কাজ করতে হবে। আর সময়ের চাহিদার কথা ভেবে জেআইএস-এ ছাত্র-ছাত্রীদের তৈরি করা হয়। যার মানে, শুধুমাত্র শ্রেণিবদ্ধ পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, ডিগ্রিই শেষ কথা নয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই জেআইএস গ্রুপ তাদের সিলেবাস তৈরি করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ জেআইএস-এর মোট সাতটি শাখা রয়েছে। তার মধ্যে ৪ টি স্বশাসিত এবং ৩ টি ম্যাকাউটের অধীনে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক কোথায় কোন কোন বিষয়ে পড়ানো হয় এই শাখাগুলিতে।
জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জনিয়ারিং: এখানে পড়ানো হয় বি-টেক, এম-টেক, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স
নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি: এম-টেক, বি-টেক, ডিপ্লোমা, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ম্যানেজমেন্ট, ভোকেশনাল
গুরু নানক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি: বি-টেক, এম-টেক, ডিপ্লোমা, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন
ডঃ সুধীর চন্দ্র সুর ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: বি-টেক, এম-টেক, ডিপ্লোমা, ভোকেশনাল
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: বি-টেক, এম-টেক, ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন
গ্রেটার কলকাতা কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: বি-টেক, ডিপ্লোমা
অ্যাবাকাস ইন্সিটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: বি-টেক
গার্গী মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
জেআইএস সব সময় প্লেসমেন্ট ট্রেনিং-এর ওপর বিশেষ জোর দিয়ে থাকে। তাদের কাছে ছাত্র-ছাত্রীর গুণগত মানই প্রধাণ। এমনকী তারা বিদেশি ইউনিভার্সিটিগুলোতেও বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে থাকে পড়ুয়াদের। যাতে তারা আরও ভালোভাবে কাজের উপোযোগী হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, জেআইএস তাদের পড়াশোনার পদ্ধতিকেও কতগুলো ভাগ করেছে। চার বছরে মোট ৮ টি সেমেস্টার রয়েছে। ভর্তি ফিও সাধ্যের মধ্যে। ৪ লাখ ২০ কুড়ি হাজার। এমনকী এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থাও আছে। যাদের মনে নানা প্রশ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে, খুব সহজেই তা সমাধান করে দিচ্ছে জেআইএস।
Comments are closed.