পৃথিবীজুড়ে গোটা মানব সভ্যতা মারণ করোনা ভাইরাসে জর্জরিত। এই অবস্থায় গত ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। বন্ধ স্কুল কলেজ, অফিস-কাছারি। এই অবস্থায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। আর এই ক্ষতির কথা মাথায় রেখেই ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহারে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করল জেআইএস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস।
এই লকডাউনের আগে জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এই মর্মে একটি ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়, যার নাম রাখা হয় ‘করোনা সে লড়াই, ঘর সে পড়াই’। এই ডিজিটাল ক্লাসের মাধ্যমে অধ্যাপক ও ছাত্রদের মধ্যে পড়াশোনার এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন, এবং এই সেশনগুলির ভিডিও জেআইএস গ্রুপের ফেসবুক পেজেও দেওয়া থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে।
এছাড়াও ম্যানেজমেন্ট, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি কোর্সের জন্য প্রতিনিয়ত ওয়েবিনার বা ওয়েব বেসড সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এই ওয়েবিনারের রেজিস্ট্রেশন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই ওয়েবিনারে বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কেরিয়ার কাউন্সেলিং করবেন।
এছাড়াও জেআইএস গ্রুপের বায়ো টেকনোলোজি, মাইক্রো বায়োলজি ও বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলি ভবিষ্যতে এই ধরনের ভাইরাস অ্যাটাক প্রতিহত করার লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করে চলেছে।
এই করোনা প্যানডেমিকের জেরে যেখানে সারা বিশ্বের অর্থ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে গেছে, সেখানে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এডুকেশন লোন নিয়ে পড়াশোনা করছেন, তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন। এ ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে জেআইএস গ্রুপের পক্ষ থেকে, যাতে কোনও ছাত্র-ছাত্রীকে সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়। এছাড়া এই লকডাউনের জেরে যে সমস্ত ক্যাম্পাস প্লেসমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না, তার বিকল্প হিসেবে অনলাইন ট্রেনিং প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ও তাঁদের সুবিধাই জেআইএস গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন গ্রুপের কর্ণধার সর্দার তরণজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, আমি সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে তাঁরা এই দুঃসময়ে অসহায় বোধ না করে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর পাশে আছে জেআইএস পরিবার।
Comments are closed.