করোনা ও লকডাউনের দোহাই দিয়ে মিডিয়ায় কর্মী ছাঁটাই বন্ধে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট, আর্জি সাংবাদিকদের সংগঠনের
করোনাভাইরাস এবং লকডাউনের জেরে আর্থিক ক্ষতির কারণ দেখিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের কর্মী ছাঁটাই, বেতন কেটে নেওয়া, বিনা বেতনে ছুটির মতো পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল দ্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অফ জার্নালিস্টস। তাদের আর্জি, ডিজিট্যাল মিডিয়া সহ সব মিডিয়া যারা লকডাউনের পর কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করেছে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাদের অভিযোগ, সাংবাদিক, সংবাদ কর্মীদের বেতন কেটে নেওয়া, ছুটিতে পাঠানো, ছাঁটাইয়ের মতো একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যে দিয়ে কর্মীদের প্রতি ‘অমানুষিক’ ব্যবহার করছে সংবাদমাধ্যমগুলি। হলফনামায় সাংবাদিক সংগঠনের আরও অভিযোগ, কোভিড-১৯ এর জেরে দেশব্যাপী লকডাউন পর্বে কোনও কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে না, বেতন কাটা যাবে না, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অ্যাডভাইজরি জারির পরেও বিভিন্ন মিডিয়া হাউস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পিটিশনাররা নটি পৃথক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে, যেখানে বিভিন্ন মিডিয়া হাউস হয় কর্মীদের পারিশ্রমিক কমিয়ে দিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে কিংবা ইস্তফা দিতে বলেছে।
মিডিয়া হাউসগুলির এই আচরণ ১৯৪৭ সালের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউটস অ্যাক্ট বিরোধী বলে পিটিশনে দাবি করেছে দ্য ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অফ জার্নালিস্টস।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন পর্বে ছাঁটাই এবং বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বারবার নিষেধ করেছেন। কিন্তু সংগঠনের অভিযোগ সংবাদমাধ্যম মালিকদের একাংশ তা অমান্য করেই ছাঁটাই কিংবা বেতন কমানো জারি রেখেছেন।
তাই লকডাউন ঘোষণার পর ডিজিট্যাল মিডিয়া-সহ যে সব মিডিয়া হাউস কর্মীদের বেতন কাটা, বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো এবং বরখাস্ত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠনগুলি।
প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস মারাঠি, দ্য ক্যুইন্ট ইত্যাদি সংবাদমাধ্যমগুলি কর্মীদের একাংশের বেতন কেটে নেওয়া থেকে বরখাস্ত করার রাস্তা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Comments are closed.