দেশজুড়ে যখন টিকার আকাল তখন টিকা বাঁচিয়ে রেকর্ড গড়ল বাংলা এবং কেরল। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, নেগেটিভ ওয়েস্টেজে দেশের সকলের আগে বাংলা। ঠিক পেছনে কেরল।
ভ্যাকসিনের আকালের মধ্যে ভ্যাকসিন নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক রাজ্যে। কদিন আগেই রাজস্থানে ডাস্টবিনে পড়ে ছিল করোনার টিকা! এই ক্ষেত্রে কার্যত ব্যতিক্রম বাংলা। করোনা টিকাকরণ পর্বের একেবারে শুরু থেকেই বাংলায় টিকা নষ্টের পরিমাণ একেবারেই কম।
কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল ১.৬১ লক্ষ ও ১.১০ লক্ষ টিকা সাশ্রয় করেছে। সরকারী তথ্য বলছে ভ্যাকসিন নষ্ট করার হিসেবে রেকর্ড করেছে ঝাড়খন্ড আর ছত্তিশগড়। সেখানে যথাক্রমে ৩৩.৯% ও ১৫.৭% ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে ৭.৩%, পাঞ্জাবে ৭%, দিল্লিতে ৩.৯%, গুজরাটে ৩.৬%, রাজস্থানে ৩.৯% ও উত্তরপ্রদেশে ৩.৭ % ভ্যাকসিন নষ্ট হয়েছে।
টিকা বাঁচানো বা নেগেটিভ ভ্যাকসিন ওয়েস্টেজের অর্থ কী?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জে যতটা টিকা ধরে, টিকার ভায়ালে তার চেয়ে কিছুটা বেশি টিকা ভরা থাকে। বাংলায় টিকা দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা ভায়ালের অতিরিক্ত অংশ টিকাও ব্যবহার করছেন। ফলে টিকা নষ্ট হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, টিকা নষ্ট হওয়া তো দূর অস্ত, বাংলা, কেরলে ভায়ালে থাকা অতিরিক্ত টিকাও মানুষকে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই দুই রাজ্যে নেগেটিভ ওয়েস্টেজ হয়েছে।
১৩৫ কোটির ভারতে যখন টিকার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে হিমশিম খাচ্ছে টিকা উৎপাদনকারী সংস্থারা, তখন বাংলা আর কেরলে নেগেটিভ ওয়েস্টেজ খানিকটা হলেও আশার আলো।
Comments are closed.