কেরালার ত্রিস্তরীয় স্থানীয় ভোটে বাম জোটের দুরন্ত ফল। অনেক পিছিয়ে দ্বিতীয় কংগ্রেসের ইউডিএফ। বিচ্ছিন্নভাবে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় জিতেছে বিজেপি।
৮, ১০ ও ১৪ ডিসেম্বর কেরলে স্থানীয় ভোট হয়। মোট ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৫২ টি ব্লক পঞ্চায়েত, ১৪ টি জেলা পঞ্চায়েত, ৮৬ টি পুরসভা এবং ৬ টি কর্পোরেশনের ভোট গণনা চলছে।
সূত্রের খবর আগেরবারের চেয়েও ভালো ফল করছে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। কেরলে এই প্রথমবার উপস্থিতি জানান দিলেও উল্লেখযোগ্য ফল করতে ব্যর্থ বিজেপি। বামেদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে কংগ্রেসের ইউডিএফ।
মাস কয়েকের মধ্যেই বিধানসভা ভোটে যাবে দক্ষিণের রাজ্য কেরল। চূড়ান্ত লড়াইয়ের আগে ত্রিস্তরীয় ভোট ছিল সবার কাছেই শক্তি পরীক্ষার শেষ সুযোগ। কারণ গ্রাম ও শহর জুড়ে হওয়া ভোটে বিধানসভার প্রবণতা আঁচ করা যায় বলে মনে করেন সব নেতারাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে সেই সুযোগ ভরপুর কাজে লাগিয়েছে পিনারাই বিজয়নের লাল ব্রিগেড।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্ষমতাসীন এলডিএফ জোট ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এগিয়ে আছে ৬৬২ টি আসনে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী ইউডিএফ জোট এগিয়ে ৪৬৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে।
কেরলে জনশ্রুতি হল কোনও সরকারই পরপর দুই দফায় ক্ষমতায় থাকে না। সেই দস্তুরে কি বদল আসতে চলেছে? হাই ভোল্টেজ বিধানসভা ভোটের আগে স্থানীয় নির্বাচনে এলডিএফের দুরন্ত ফল এবার এই আশা জাগাচ্ছে সিপিএম নেতাদের মনে। তাঁরা বলছেন, আসন্ন বিধানসভার আগে, স্থানীয় ভোটে মূল ইস্যু ছিল করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা এবং সোনা পাচার সংক্রান্ত ইস্যু। কিন্তু বিরোধীদের প্রচার যে মানুষের সমর্থন পায়নি, ভোটের ফল তাঁর প্রমাণ, বলছেন এক সিপিএম নেতা। অন্যদিকে আগামী বিধানসভার দিকে তাকিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া ব্রিগেড। কিন্তু ফল বেরনোর পর দেখা যাচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যে উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখতে এবারও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।
তবে এই ফল লাল শিবিরকে স্বস্তি দিলেও, অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের মধ্যে। কারণ স্থানীয় নির্বাচনের প্রবণতা বিধানসভাতে বজায় থাকলে এবারও ক্ষমতায় ফেরা হবে না ইউডিএফের।
Comments are closed.