লকডাউনের মধ্যে মদকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ছাড় কেরল, পঞ্জাবে! আরও কিছু রাজ্যে মদ চালুর দাবি, সমালোচনাও বিভিন্ন মহলে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। চাল-ডাল, দুধ, মাছ-মাংসের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বিক্রিতেই কেবল অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। যদিও এই অপরিহার্য পণ্যের মধ্যে মদকে রেখে সমালোচনার মুখে কেরলের বাম এবং পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার।
কেরল ও পঞ্জাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে মদ। করোনা সংক্রমণ এড়াতে যখন ভিড় এড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, তখন এই দুই রাজ্যেই রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে মদ।
যদিও কেরলে ক্রমান্বয়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অন্যান্য দোকানের মতো বার ও মদের আউটলেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেরল সরকার। তারপরেও কেন বিকোচ্ছে মদ? টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের উত্তরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, অন্যান্য বার ও লিকার শপ বন্ধের নির্দেশ থাকলেও রাজ্যের বেভারেজেস কর্পোরেশন লিমিটেড (বেভকো)- র মাধ্যমে মদ বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। তবে দোকানে বসে পানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাতে ভিড় বাড়বে। এরপরে বিজয়ন পঞ্জাবের মুখামন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের একটি মেসেজ তুলে ধরেন সাংবাদিক বৈঠকে। পিনারাই বিজয়নের কথায়, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর একটি বার্তা আমার কাছে রয়েছে। আপনাদের পড়ে শোনাচ্ছি। এরপর তিনি বলতে থাকেন, রাজ্যে সব জরুরি পণ্য পরিষেবা চালু থাকবে… মুদি দোকান, মদের দোকান ইত্যাদি ইত্যাদি…
এই প্রেক্ষিতে পঞ্জাব সরকারের এক মুখপাত্র স্বীকার করে নেন, সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখার অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের এমন কোনও বার্তা বা ট্যুইট করার কথা অস্বীকার করেন ওই সরকারি মুখপাত্র।
এদিকে দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজ্যে যখন স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট অফিস, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে তখন বেভকোর মাধ্যমেই বা কেন মদ বিক্রির অনুমোদন থাকবে, তা নিয়ে কেরলের বাম সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিরোধীদের একই অভিযোগের মুখে পড়েছে পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারও।
কেরল, পঞ্জাব সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা বিভিন্ন মহলে
Comments are closed.