৬৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনাদায়ি ঋণ মুছে ফেলেছে ভারতীয় ব্যাঙ্ক, তালিকায় মেহুল চোকসি, রামদেব, আরটিআইয়ে তথ্য প্রকাশ
করোনাভাইরাস মহামারির জেরে স্তব্ধ অর্থনীতি। দেশে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমাজকর্মী সাকেত গোখলের করা আরটিআইয়ে জানা গেছে যে দেশের ৫০ জন ঋণখেলাপীর প্রায় ৬৮,৬০৭ কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণ হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলেছে ভারতের ব্যাঙ্কগুলো। এই ঋণখেলাপিদের তালিকায় যেমন রয়েছেন মেহুল চোকসি, তেমনই নাম রয়েছে যোগগুরু রামদেবেরও।
আরটিআই তথ্য জানাচ্ছে, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫০ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকায় সবার প্রথমে নাম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলী জেমস লিমিটেডের।
তালিকায় গীতাঞ্জলী জেমস ছাড়াও রয়েছে রয়েছে চোকসির অন্য দুটি সংস্থা গিলি ইন্ডিয়া লিমিটেড ও নক্ষত্র ব্র্যান্ড লিমিটেড। এর মধ্যে গীতাঞ্জলী জেমসের নেওয়া ঋণের অঙ্ক ৫,৪৯২ কোটি টাকা, গিলি ইন্ডিয়া লিমিটেড ঋণ নিয়েছিল ১,৪৪৭ কোটি টাকা ও নক্ষত্র ব্র্যান্ডসের অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ ১,১০৯ কোটি টাকা।
ঋণ শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এই মুহূর্তে চোকসি রয়েছেন অ্যান্টিগুয়া-বার্বাডোজে।
এছাড়াও অনাদায়ি ঋণ মোছার তালিকায় নাম রয়েছে পতঞ্জলীর রামদেব ও বালকৃষ্ণর রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। রামদেবের সংস্থার ২,২১২ কোটি টাকা অনাদায়ি ঋণ ছিল। আরটিআই বলছে, তা হিসেবের খাতা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
সংবাদসংস্থাকে সাকেত জানিয়েছেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সাংসদ রাহুল গান্ধী এই প্রশ্ন করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে। কিন্তু জবাব মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই তথ্যের অধিকার আইনের সাহায্য নিতে হয়েছে।
সরকার না জানানোয়, তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা সাকেত গোখলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে আরটিআই আইনে এই তথ্য জানতে চান। সেই ভিত্তিতে গত ২৪ এপ্রিল প্রশ্নের জবাব দেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক অভয় কুমার।
Comments are closed.