শুক্রবার রাজ্য বিজেপির নব নিযুক্ত সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা সভায় হাজির ছিলেন না লকেট চ্যাটার্জি। বিধাননগর পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির সব নেতৃত্ব, সমস্ত বিধায়ক-সাংসদ উপস্থিত থাকলেও লকেট তখন ছিলেন দিল্লিতে। যার জেরেই ফের জল্পনা দেখা দিয়েছে, হুগলির সাংসদও কী এবার বাবুলের পথে?
বাবুল সুপ্রিয় দল ছাড়ার পরেই লকেটকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। জল্পনার মাঝেই তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। আর এসবের মধ্যে আগুনে ঘি সংযোগ হয় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি ট্যুইটে। বিজেপির তরকা প্রচারকের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভবানীপুরে প্রচারে না যাওয়ার জন্য লকেটকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে কুণাল ইঙ্গিত পূর্ণ দাবি করেন, আশা করি আপনি(লকেট) আবার রাজনৈতিক জীবন শুরু করবেন।
কুণালের ট্যুইট নস্যাৎ করে পাল্টা তাঁকেই কটাক্ষ করেন এবং বিজেপি সাংসদ সাফ জানান তিনি দলেই আছেন। লকেট মুখে দাবি করলেও রাজনৈতিক মহলের অনেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দিতে রাজি নয়। তাঁদের ব্যাখ্যা, তৎকালীন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের দলবদলের জল্পনা শুরু হওয়ার সময় তিনিও ট্যুইটে বলেছিলেন যে বিজেপিতেই আছেন। দল ছাড়বেন না। মুকুলের সেই ট্যুইট জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব শেয়ারও করে ছিলেন। কিন্তু তারপরের ঘটনা সকলের জানা। মুকুল রায় দল ছেড়েছেন। সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়ও তৃণমূলে যাবেন না বলে ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূলে গিয়েছেন।
আর এই আবহে রাজ্য বিজপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চ্যাটার্জি কেন নতুন রাজ্য সভাপতির সংবর্ধনা সভা এড়ালেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও লকেটের দাবি, তিনি দলের কাজেই দিল্লিতে ব্যস্ত ছিলেন। সামনে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে তাঁকে সহ পর্যবেক্ষক করেছে বিজেপি। তিনি সেই কাজেই দিল্লিতে ছিলেন। লকেট আরও জানান, রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর সুকান্তর দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখা করেছেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যে থাকতে পারবেন না সেটাও জানিয়েছিলেন তাঁকে।
Comments are closed.