মদন মিত্র: মৃত্যুবরণ করব, কিন্তু মমতার সঙ্গে বেইমানি করব না
জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মদন মিত্র বলেন, কামারহাটির মানুষ আমায় ১০ বছর ধরে তাঁদের বুকের মধ্যে আগলে রেখেছেন
আমার জীবনে যখন চরম দুর্দিন ছিল, মমতা ব্যানার্জি পাহাড়ের মতো পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল এবং মমতা না থাকলে আজ হয়তো বেঁচে থাকতাম না। কামারহাটি বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে প্রতিক্রিয়া মদন মিত্রের। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলত্যাগী নেতাদের আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, আমি এবং আমার পরিবার মৃত্যুবরণ করব, কিন্তু মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বেইমানি করব না। একটি ফেসবুক ভিডিও বার্তায় মদন মিত্র একাধিকবার দলনেত্রীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি সতীর্থ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীদেরও ধ্যনবাদ জানান রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী।
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সির শিবিরের বলে পরিচিত মদন মিত্র এক্কেবারে শুরুর দিন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে। বাম জমানায় যে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে মমতা ব্যানার্জির পাশে দেখা যেত তাঁকে। রাজ্যে পালাবদলের সময় ২০১১ সালে কামারহাটি থেকে জয়ী হন মদন। ওই বছর পরিবহণ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী হন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের ছন্দপতন হয় ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে। সারদা মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। এই ঘটনার জেরে ২০১৫ সালে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তবে ২০১৬ সালেও বিধানসভা নির্বাচনে পুরোনো কেন্দ্র কামারহাটি থেকেই ভোটে লড়েন তিনি। তৃণমূল রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেলেও, সিপিএম প্রার্থী মানস মুখার্জির কাছে ৪,১৯৮ ভোটে হেরে যান মদন মিত্র। এরপর ২০১৯ সালে অর্জুন সিংহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে দাঁড়ান। অর্জুনের ছেড়ে যাওয়া ভাটপাড়ায় মমতা প্রার্থী করেন দলের পুরোনো সৈনিক মদন মিত্রকে। ভাটপাড়ায় বাই ইলেকশানে অর্জুন পুত্রের কাছে হেরে যান মদন মিত্র।
একুশের মহাযুদ্ধে মদনের গড় বলে পরিচিত কামারহাটি বিধানসভা থেকেই ঘাসফুল শিবির তাঁকে প্রার্থী করেছেন। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মদন মিত্র বলেন, কামারহাটির মানুষ আমায় ১০ বছর ধরে তাঁদের বুকের মধ্যে আগলে রেখেছেন। মমতা ব্যানার্জির যেভাবে হাসতে হাসতে আমায় কামারহাটির প্রার্থী করেছেন, সেই মর্যাদা আমি রাখব।
Comments are closed.