বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রের বিদায়ী সরকারের মেয়াদ, নতুন সরকার গঠন বিশ বাঁও জলে

মাঝে আর একদিন। এখনও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জটিলতা কাটল না। শিবসেনা যে সরকার গড়ার দৌড়ে এনসিপিকে পাশে পাচ্ছে না তা পরিষ্কার করে দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। পাশাপাশি, উদ্ধব ঠাকরের দল যে কংগ্রেসেরও সমর্থন পাচ্ছে না তারও ইঙ্গিত মিলেছে। এদিকে বুধবার এনসিপি-র সঙ্গে আরও একপ্রস্ত বৈঠক সেরেছে শিবসেনা। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে জট বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সম্ভাবনার কথা ভেসে আসছে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে।
২৮৮ আসনের বিধানসভায় ৫৬ টি আসন পাওয়া শিবসেনা মাত্র দু’দিন আগেই দাবি করেছিল বিজেপিকে ছাড়াই তারা সরকার গড়তে পারে। তাদের সঙ্গে মোট ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। মনে করা হচ্ছিল, ৫৪ আসন পাওয়া এনসিপি, ৪৪ আসন পাওয়া কংগ্রেস সহ নির্দলদের সমর্থনের দিকে ইঙ্গিত করেছিল শিবসেনা। কিন্তু শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে বুধবার বৈঠক সেরে বেরনোর পরেই এ নিয়ে কটাক্ষ করেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, শিবসেনা কোথা থেকে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থনের কথা বলছে, জানি না। সময় পেলে আমি শিবসেনা নেতাদের জিজ্ঞাসা করব। পাওয়ার শিবসেনাকে সমর্থনের সব সম্ভাবনাই এদিন উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিজেপি ও শিবসেনার সম্পর্ক ২৫ বছরের। নতুন সরকার গঠন নিয়ে তাদের চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যদিও মঙ্গলবার পাওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন, শিবসেনা এনডিএ ছেড়ে দিলে তাদের সমর্থনের কথা ভাবা হবে। বুধবার আর পাওয়ার সেই সব প্রসঙ্গ তোলেননি।
এনসিপি প্রধান আবারও জানান, মহারাষ্ট্রের জনাদেশ মেনে এনসিপি ও কংগ্রেস বিরোধী আসনেই বসছে। এদিকে পাওয়ারের সঙ্গে শিবসেনার বৈঠকের পরেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের কৃষক সমস্যাই ছিল ওই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়। তাতে হাজির ছিলেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউতও। রাতে বিজেপির নেতারা আবার বৈঠকে বসেন। তবে সরকার গড়ার বিষয়ে বিজেপি প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না।
শুক্রবারই শেষ হচ্ছে বর্তমান সরকারের মেয়াদ। শনিবারের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন না হলে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোবে রাজ্য। সেক্ষেত্রে ফের বিধানসভা ভোটের দিকেও যেতে পারে বিজেপি।

 

Comments are closed.