যোগী কি রাজ্যপালকে ‘ঠোক দো’ নীতিও ব্রিফ করেন? উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ দিয়ে মমতাকে ধনখড়ের খোঁচার পাল্টা কটাক্ষ মহুয়া মৈত্রের
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সে রাজ্যের রাজ্যপাল কি ‘ঠোক দো’ নীতির কথাও জানতে পারেন? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ট্যুইটের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না, প্রশ্নের জবাব দেন না। বারবার এমনই অভিযোগ করেন রাজ্যপাল ধনখড়। কয়েকদিন আগেই যার কড়া প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেছিলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের চাকর-বাকর নন। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ধনখড়ের সমালোচনারও পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন মমতা। এর মধ্যেই মমতাকে নিশানা করে গত ১৯ জুলাই একটি ট্যুইট করেন ধনখড়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় রাজ্যপাল ধনখড় তাঁর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের সাক্ষাতের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে সেখানে লেখেন যে, লখনউয়ের রাজভবনে আনন্দীবেন প্যাটেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানতে পারেন ওয়েবিনারে উপাচার্যদের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ থাকে। রাজ্যের সমস্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকেও নিয়মিতভাবে বিস্তারিত বিবরণ পান। এরপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাজ্যপাল ধনখড় লেখেন, এই সুন্দর অনুশীলন প্রক্রিয়া মমতারও অভ্যাস করা দরকার।
প্রত্যুত্তর আসে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে। মহুয়া লেখেন, বাংলার রাজ্যপালের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল দেখা করে জানিয়েছেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নিয়মিতভাবে রাজ্য পরিচালনার সমস্ত খবরাখবর পান এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও একই সহজ অভ্যাস গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তারপরই মহুয়ার কটাক্ষ, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপালকে দেওয়া এই ব্রিফিং এর মধ্যে যোগী রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলা ‘ঠোক দো’ (মেরে ফেলো) নীতির কথাও কি বলা থাকে?
উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী সরকার। বিকাশ দুবে কাণ্ড নিয়ে সরগরম উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি। তার মধ্যেই এক হিন্দি দৈনিকের সাংবাদিককে প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর মেয়েদের সামনেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। বুধবার কাকভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাংবাদিক বিক্রম জোশীর। মৃত সাংবাদিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা ব্যানার্জি। সমালোচনায় সোচ্চার কংগ্রেস সহ বিরোধীরা।
এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের হাল হকিকত নিয়ে রাজ্যপালকে নিয়মিত যোগী আদিত্যনাথ ব্রিফ করেন বলে বাংলার রাজ্যপাল যে দাবি করেছেন, তা তুলে ধরে অত্যন্ত কৌশলে জঙ্গলরাজের অভিযোগ টেনে আনলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
Comments are closed.