মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ শানালেন মমতা ব্যানার্জি। সোমবার মমতার সমাবেশের মূল ইস্যু ছিল কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি। এদিন বিজেপির দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, নবান্নর ধান ছুঁয়ে শপথ করে বলছি, কৃষকদের আন্দোলনের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। মঙ্গলবার থেকে ব্লকে ব্লকে ধরনা দেবে তৃণমূল।
এরপরই সিপিএম ও কংগ্রেসকে বিজেপির পাশে বসিয়ে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, সিপিএম নামে একটি রাজনৈতিক দল, যারা কঙ্কাল কাণ্ডের সবচেয়ে বড়ো নায়ক, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই, কেশপুর করেছে, আজ তারা বিজেপির সবচেয়ে বড়ো রক্ষক। মমতার কথায়, সিপিএম হল বিজেপির রক্ষক, বিজেপি ভক্ষক। আর কংগ্রেসের কথা কী বলব, ওরা সাপের গালেও চুমু খায় আবার ব্যাঙের গালে চুমু খায়। ওরা হল তক্ষক!
মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপির তল্পিবাহক। তাদের দিয়ে বিজেপি সারা রাজ্যে অশান্তি করার প্ল্যান করেছে।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিজেপি এই দুই দলের সাহায্যে বহিরাগতদের দিয়ে টাকা বিলি করছে। ব্লকে ব্লকে বহিরাগতদের উপর কড়া নজর রাখতে বলেন নেত্রী। বলেন তৃণমূল এখন বটবৃক্ষ। এখানে খাবলাবার জায়গা নেই। বিজেপি, তোমার অনেক টাকা, অনেক গুন্ডা কিন্তু তৃণমূলকে তুমি কিনতে পারবে না, চ্যালেঞ্জ রইল।
এদিন ৩ টি কৃষি আইনকে কালা কানুন আখ্যা দিয়ে মমতা ব্যানার্জি সরাসরি মোদী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হয় ৩ কালা কানুন প্রত্যাহার করো, না হলে বিজেপি গদি ছাড়ো। ভারতের মাটি থেকে বিজেপির উৎখাতের সময় চলে এসেছে। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সবার দুর্নীতি নিয়ে এত কথা বলে যে বিজেপি, পিএম কেয়ার্স নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক কোথাকার কত টাকা ঢুকেছে, কথায় কত খরচ হয়েছে।
ক’দিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়িতে ফিরেছেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। সিপিএম এতে শক্তিশালী হবে বলে দাবি লাল শিবিরের। সেই মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে দাঁড়িয়ে মমতা যেভাবে সিপিএমের কঙ্কাল কাণ্ডকে ফেরালেন বিজেপিকে বিঁধে, তার রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশাল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.