সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছেন বিমল গুরুং। বিজেপিকে শিক্ষা দিতে তৃণমূলের সঙ্গে চলার কথা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছিল, কোন শর্তে গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ গুরুংয়ের?
জলপাইগুড়ির এবিপিসি মাঠের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি গোর্খাল্যান্ড দেবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাহাড়ে একের পর এক ভোটে জিতেছে। আমরা বলিনি, তাই আমরা জিতিনি। আজ পাহাড়বাসী বুঝেছেন বিজেপি কী জিনিস!
মমতা বলেন, নির্বাচন এলেই গোর্খাল্যান্ড ইস্যু তোলে বিজেপি। কিন্তু পাহাড়ের ‘পার্মানেন্ট সলিউশন’ করব আমরাই।
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, উত্তরবঙ্গের প্রায় সব লোকসভা আসন জিতেও একটিও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বিজেপি। মমতার কটাক্ষ, কটা গোর্খাল্যান্ড হল পাহাড়ে? ‘১৪, ‘১৮ ও ‘১৯ সালের ভোটে একটা করে গোর্খাল্যান্ড পেয়ে গিয়েছে দার্জিলিঙ? এরপর মমতার মন্তব্য, পাহাড়ের বাসিন্দারা বিজেপির মিথ্যে ধরে ফেলেছেন। তাই বিমল গুরুংরা বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে এসেছেন। এরপরেই মমতার ঘোষণা, পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন তাঁরাই।
কোন স্থায়ী সমাধানের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১১ সালে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় এসেই জিটিএ চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। জলপাইগুড়ির সভা থেকে তার কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ মমতার কথায় গোর্খাল্যান্ড নিয়ে মিথ্যের জাল বুনেছে বিজেপি। তৃণমূল তা করবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এর মাধ্যমেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে নবান্নের মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিন কয়েক আগেই শিলিগুড়িতে সভা করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। একসময়ের মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের হুঁশিয়ারি ছিল এবারের বিধানসভা ভোটে মমতার হাত শক্ত করে বিজেপিকে সবক শেখাবেন তাঁরা। তুলেছিলেন গোর্খাল্যান্ডের দাবিও। এই প্রেক্ষিতে উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জি সাফ করলেন, গোর্খাল্যান্ডের গাজর দেখিয়ে তিনি পাহাড়িদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।
Comments are closed.