প্ল্যান ছিল CRPF কে দিয়ে ৭০ টা বুথ রিগ করবে! নন্দীগ্রামে বুথে বসে থাকার কারণ ব্যাখ্যা মমতার
বয়ালে বুথ থেকে বেরিয়েই হাতের আঙ্গুলে ভি সাইন দেখিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আমিই জিতছি
নন্দীগ্রামে ভোটের দিন বয়ালের বুথে মমতার বসে থাকা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বিজেপি তা নিয়ে কমিশনে নালিশও জানিয়েছে। কিন্তু জানেন কি কেন ঠায় সেখানেই বসে ছিলেন মমতা ব্যানার্জি? যাদবপুরের জনসভা থেকে সেই কারণ ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূল নেত্রী।
নন্দীগ্রামে ভোটের দিন দুপুর ১ টা নাগাদ রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে বেরোন মমতা ব্যানার্জি। তারপরই তিনি সোজা চলে যান বয়ালের স্কুলের বুথে। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় বুথেই কাটান মমতা। বুথের সামনে বসেই রাজ্যপালকে ফোন করেন মমতা। কথা হয় নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার নগেন্দ্র ত্রিপাঠির সঙ্গেও। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে বাইরে বিক্ষোভরত বিজেপি সমর্থকদের সরিয়ে দেয়। বেরিয়ে আসেন মমতা ব্যানার্জি। আর বয়ালে বুথ থেকে বেরিয়েই হাতের আঙ্গুলে ভি সাইন দেখিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আমিই জিতছি।
একজন প্রার্থী কী ভাবে এতক্ষণ বুথে বসে থাকতে পারেন, তা নিয়ে তোলপাড় শুরু করে বিজেপি। যদিও কমিশন এই বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি। এর মধ্যেই মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দিলেন, কেন তিনি বয়ালে এতক্ষণ বসে ছিলেন।
গ্রাম বাংলা ঘুরে ভোট আসছে কলকাতায়। উত্তরবঙ্গ থেকে তাই মমতার পরবর্তী গন্তব্য নিজের প্রথম ভোটে লড়া যাদবপুর। সেই অর্থে এবারের ভোটে মমতার কলকাতা শহরে প্রথম জনসভা ছিল যাদবপুরে। সেই সভায় মুখ্যমন্ত্রী খোলসা করলেন নন্দীগ্রাম বৃত্তান্ত।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমার উপর ওদের খুব রাগ। কেন জানেন? ওদের প্ল্যান ছিল CRPF কে দিয়ে নন্দীগ্রামের ৭০ টা বুথ রিগ করবে। শুভেন্দুদের পরিকল্পনা আগেভাগেই ধরে ফেলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার কথায়, ৩ ঘণ্টা ঠেসে বসেছিলাম। আমার কষ্ট হয়েছিল কিন্তু ওরা ভোট লুট করতে পারেনি। এই জন্যই ওদের আমার উপর এত রাগ, বলেন মমতা ব্যানার্জি।
এদিন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারকে জয়ী করার আহবান জানিয়ে মমতা বলেন, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ভুল আপনারা করবেন না আমি জানি। কিন্তু বলে দি, এখানকার সিপিএম নেতাদের আমি খুব ভালো জানি। মুখের ভাষা এত খারাপ যে আমি সুজনকে কুজন বলে ডাকি। সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করে মমতা একসময় বলেন, সিপিএমের চেয়ে আলট্রা লেফট ভাল। কারণ তাদের একটা আদর্শ আছে, জেতা সিপিএমের নেই।
Comments are closed.