উত্তর প্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে পথে নামল বাংলা। শনিবার বিকেল ৪ টেয় বিড়লা তারামণ্ডল থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মমতা ব্যানার্জি। অন্যদিকে প্রতিবাদ মিছিল করে বাম-কংগ্রেসও।
হাথরস কাণ্ড নিয়ে পথে নামার ঘোষণা হয়েছিল মাত্র একদিন আগে। ছিল না আলাদা করে কোনও প্রচার বা প্রসার। কিন্তু বিকেল চারটেয় বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে যখন এসে থামল মমতা ব্যানার্জির গাড়ি, তখন গোটা চত্বরে কেবল কালো মাথা। পদযাত্রা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী। পিছনে তৃণমূল সমর্থকদের পাশাপাশি নজর কেড়েছে মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়ের বিপুল অংশ গ্রহণ। মুখে মাস্ক, ফিজিক্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পদযাত্রা শেষ হয়। মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নেন নেত্রী।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, পরশু থেকেই আমার মন বলছিল ইউপি ছুটে যাই। আমি শারীরিকভাবে হয়ত এখন আপনাদের সামনে আছি কিন্তু আমার মন পড়ে আছে গ্রামে। আপনারা জানেন গতকাল ওই পরিবারটি কেমন আছে দেখতে ডেরেক, প্রতিমা, মমতাবালাদের পাঠিয়েছিলাম। ওরা গ্রামের কাছে চলে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ জোর করে তাঁদের আটকায়। ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় আমার মহিলা সাংসদের। আমি শুনেছি সাংবাদিকরা ওখানে ঢোকার দাবিতে ধরনা করছিল। তারপরেই বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে মমতা ব্যানার্জির দাবি, আমার কাছে স্পেসিফিক খবর আছে, কাল থেকে সাংবাদিকদের ফোনে থ্রেট করা শুরু হয়েছে। ফোনে বলা হচ্ছে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আমরা যেটা বলবো সেটাই হবে।
মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যে দলিত সংখ্যালঘুদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। হরিয়ানা, অসম থেকে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, এই সরকারের আমলে কেউ বিচার পায় না। তৃণমূল নেত্রীর কথায় বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। বলেন, আমি পরিবারটির সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে জানানো হল, ফোন কেড়ে রেখে দিয়েছে পুলিশ। এভাবে চাপ দিয়ে সাধারণ মানুষের মুখ বন্ধ করতে চান যোগী আদিত্যনাথ, প্রশ্ন করেন তৃণমূল নেত্রী।
মমতা বলেন, বিজেপি তোমার বন্দুকবাজেদের ভয় পাই না। তৃণমূল লড়বে। মনে রেখো, দলিতরা বিপদে পড়লে আমি দলিত। আমাদের কাস্টের নাম মানবিকতা। গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে মমতা স্লোগান তোলেন, বিজেপি সরকার লজ্জা, লজ্জা।
তাঁর আরও অভিযোগ, ভোট এলেই দলিতদের ঘরে গিয়ে হোটেল থেকে আনা খাবার খাওয়ার নাটক করে বিজেপি। বিজেপির রাজত্বে দলিত, সংখ্যালঘু কিংবা সাধারণ মানুষ, কেউই আর নিরাপদ নয় বলেও মন্তব্য করেন মমতা ব্যানার্জি।
Comments are closed.