শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে দুপুর ২ টোয় ছাত্র সমাজের উদ্দেশে বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী। কী বলবেন মমতা? সংগঠনে হবে কি আরও কোনও রদবদল? আসন্ন বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে দেবেন কি নতুন কোনও দিশা? এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, যুব সম্প্রদায়কে তৈরি করার নীল নকশার কথা। তৃণমূলের ছাত্র শাখার প্রতিষ্ঠা দিবসে তাই আগ্রহ তৈরি হয়েছে, কী বার্তা দেন তা নিয়ে। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের আগে পরে তৃণমূলের দলীয় সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। মমতা সামনে এনেছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রজন্মের নেতাদের। দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁর রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের নিট-জেইই পরীক্ষা নেওয়ার বিরোধিতা করে আসছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন। প্রকাশ্যে আপত্তিও জানিয়েছেন। সর্বোপরি এই ইস্যুতে বুধবার বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে মধ্যমণি মমতা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের সওয়াল করেছেন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দলকেও নামিয়ে দিচ্ছেন পথে নেমে বিরোধিতায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এক ঘণ্টার অবস্থান সমাবেশ করবে টিএমসিপি। তাতে হাজির থাকবেন মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি। অর্থাৎ টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলন শুরু করছেন মমতা। দুপুরে কালীঘাটের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন মমতা। সেই বক্তৃতায় করোনা কালে নিট-জয়েন্টের বিরোধিতার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতার লাইন ঠিক করে দেবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে মমতা বারবার তুলে এনেছিলেন ছাত্র যুবদের ভূমিকার কথা। পাশাপাশি যুব তৃণমূলের বাংলার যুবশক্তি কর্মসূচিও ব্যাপক সাড়া পেয়েছে গোটা রাজ্যে। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছাত্র যুবদের রেখেই যে কেন্দ্র মোকাবিলার ছক সাজাচ্ছেন মমতা, তা একরকম স্পষ্ট।
কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ছাত্র যুব সহ দলীয় নেতৃত্বকে আরও বেশি আন্দোলনমুখী করে তোলার জন্য সংগঠনে কি আরও কিছু বদলের কথা ভাবছেন তৃণমূল নেত্রী? এই জল্পনা ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। কে থাকবেন আর কে বাদ যাবেন তা নিয়েই এখন হিসেব কষতে ব্যস্ত তৃণমূল শিবির।
Comments are closed.