ঘর সামলাতে পারেন না, এসেছেন বাংলায় প্রচার করতে! হাথরসের ঘটনায় যোগীকে কটাক্ষ মনোজ তিওয়ারির
মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি, নুসরৎ, সোহম সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মালদায় সভা করতে আসা যোগী আদিত্যনাথকে
শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত যুবক গুলি করে মারল নির্যাতিতার বাবাকে! ফের সংবাদের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস। আর এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে বিজেপির হয়ে সভা করতে আসা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তীব্র আক্রমণ শুরু করল তৃণমূল।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে সায়নী ঘোষ, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি, নুসরৎ, সোহম সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা, চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মালদায় সভা করতে আসা যোগী আদিত্যনাথকে।
মনোজ তিওয়ারির কটাক্ষ, নিজের ঘর সামলাতে পারেন না, এসেছেন বাংলায় প্রচার করতে! কী জবাব দেবেন, কী করে নির্যাতিতার বাবাকে অভিযুক্ত ১২ বার গুলি করে হত্যা করে! উল্লেখ্য এদিন ভোটের প্রচারে মালদার জনসভায় বক্তব্য রাখেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
আবার এক ঘৃণ্য ঘটনা, আবার সেই হাথরাস এবং সেই @myogiadityanath শাসিত উত্তর প্রদেশ। নিজের ঘর যিনি সামলাতে পারে না তিনি আসছেন বাংলায় প্রচার করতে। উনি কি জবাব দেবেন কি করে এক নির্যাতিতার বাবাকে সেই নির্যাতনে অভিযুক্ত অপরাধী ১২-বার গুলি করে হত্যা করতে পারে? #BJPHataoBetiBachao pic.twitter.com/FXq2PYmfLB
— MANOJ TIWARY (@tiwarymanoj) March 2, 2021
২০১৮ সালে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তর প্রদেশের হাথরসে গ্রেফতার হন গৌরব শর্মা নামে ওই ব্যক্তি। মাসখানেক আগে জামিন পান তিনি। সোমবার নির্যাতিতার গ্রামে পুজো দিতে যান গৌরবের স্ত্রী ও কাকিমা। সেই সময় সেখানে নির্যাতিতা ও তাঁর বোন এসে পড়লে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তার মধ্যেই গৌরব শর্মা বন্দুক বের করে নির্যাতিতার বাবাকে পরপর গুলি করতে থাকেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিতার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
[আরও পড়ুন- Maa Canteen Scheme 2021: ৫ টাকায় ডিম-ভাত, মমতার নয়া পদক্ষেপেই বাজিমাত?]
গত বছর এই হাথরসেই এক দলিত কন্যাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তুমুল আলোড়ন উঠেছিল গোটা দেশে। পুলিশ জোর করে রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার মৃতদেহ দাহ করে। সংবাদ মাধ্যমকেও কয়েকদিন ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যার জেরে দেশ জুড়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ঘটনার স্মৃতি এখনও দেশবাসীর মনে টাটকা, তারমধ্যেই ফের একবার গুলি বিদ্ধ হয়ে মরতে হল আরেক নির্যাতিতার বাবাকে।
এই অবস্থায় মালদায় প্রচারে এসে বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে সোচ্চার হলেন যোগী আদিত্যনাথ।
Comments are closed.