ভারত-চিন দ্বৈরথ: জাতীয় শিক্ষানীতিতে বাদ চিনা ভাষা, গতবার বিদেশি ভাষা শিক্ষার তালিকায় ছিল ম্যান্ডারিন ও ক্যান্টনিজ
জটিল হচ্ছে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব। বাণিজ্য সম্পর্কে আগেই চিনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে ভারত। এবার নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতেও ধরা পড়ল ‘বয়কট চিন’ নীতি। বিদেশি ভাষা শিক্ষার তালিকা থেকে বাতিল দেওয়া হল চিনা ভাষা!
২০১৯ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়ায় ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে স্থান পেয়েছিল ফ্রেঞ্চ, জার্মান, স্প্যানিশ ও চিনা ভাষা। বুধবার কেন্দ্র যে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে তাতে অন্যান্য বিদেশি ভাষা থাকলেও বাদ গিয়েছে চিনা ভাষা।
ম্যান্ডারিন কিংবা ক্যান্টনিজ ভাষা যা চিনা ভাষা নামে পরিচিত, ২০১৯ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় জায়গা পেয়েছিল। সেকেন্ডারি স্তরে ঐচ্ছিক বিদেশি ভাষা শিক্ষার তালিকায় ছিল এটি। তবে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের আবহে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে বাতিল হল চিনা ভাষা শিক্ষার বিকল্প।
জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানাচ্ছেন এই পরিবর্তনের ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না। তবে পরিবর্তনের কারণ তো স্পষ্ট, ভারত-চিন দ্বন্দ্বকে উদ্দেশ্য করে ইঙ্গিত আধিকারিকদের।
গত ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-র অদূরে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর প্রেক্ষিতে চরমে উঠেছে দু’দেশের সম্পর্ক। ‘চিন বয়কট’ নীতিতে চিনাদের ১০০-র বেশি মোবাইল ও কম্পিউটার অ্যাপ এ দেশে নিষিদ্ধ করেছে মোদী সরকার। এসেছে চিনা পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি। এবার ভাষা শিক্ষাতেও সেই বয়কটের ছাপ পড়ল।
বিদেশি ভাষা শেখান এমন শিক্ষকেরা সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন, এশিয়ান ভাষা শিক্ষার মধ্যে চিনা ও জাপানি ভাষা শেখার আগ্রহ এ দেশের পড়ুয়াদের মধ্যে বেশি। চিনা ভাষা শেখার সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যায় দেশের আইটি ক্যাপিটাল বেঙ্গালুরুতে। বিশেষ করে গত তিন বছরে সেখানকার পড়ুয়াদের মধ্যে ম্যান্ডারিন বা ক্যান্টনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার আগ্রহ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ভারত-চিন দ্বৈরথের আবহে জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে বাদ দেওয়া হল সেই চিনা ভাষাকে।
Comments are closed.