মর্মান্তিক! কাকভোরে মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় ঘুমের মধ্যেই ছিন্নভিন্ন ১৫ পরিযায়ী শ্রমিক
মুম্বই থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়ির উদ্দেশে ২০ জনের দলটি রওনা দিয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল জালনা থেকে পায়ে হেঁটে ১৫৭ কিলোমিটার দূরে ভুসাওয়াল পৌঁছনো। সেখান থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ধরে মধ্যপ্রদেশে বাড়িতে। বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে দলটি চলছিল রেল লাইন ধরেই। দিনের তপ্ত রোদ কিংবা গরমের হলকা, কোনওকিছুই আটকাতে পারেনি তাদের। কিন্তু কাল হল ঘুম।
শুক্রবার কাক ভোরে মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদে ছুটন্ত মালগাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল প্রবল ক্লান্তিতে রেল লাইনের উপরই ঘুমিয়ে পড়া ১৫ জন পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। আর বাড়ি পৌঁছনো হল না।
পুলিশের অনুমান, লকডাউনের জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ বলে ভেবেছিল দলটি। আর তাই মধ্যরাতে রেল লাইনের উপরই ঘুমোনোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। জানতেন না, ভোরবেলা এই লাইন দিয়েই যাবে মালগাড়ি। মুম্বই থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে শুক্রবার ভোর সওয়া ৫ টা নাগাদ এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার আকস্মিকতায় ২০ জনের জনের দলের বেঁচে থাকা ৫ সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। মহারাষ্ট্র পুলিশের তরফে তাঁদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেল মন্ত্রী ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন। তাঁর দাবি, মালগাড়ির চালক ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেবেন বলে জানিয়েছেন।
পারভানি-মানমাদ সেকশনের বদনাপুর ও কারমাড স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দলে কোনও শিশু ছিল না। পরিযায়ী শ্রমিকদের দলটি জালনা জেলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।
Comments are closed.