সিলামপুর, শাহিন বাগ, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে সিএএ বিরোধী আন্দোলন কাকতালীয় কোনও ঘটনা নয়। এটা আসলে একটি বিশেষ রাজনৈতিক নকশা। যে নকশা দিয়ে দেশকে খণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র করছে আপ আর কংগ্রেস। দিল্লিতে প্রথমবার ভোটের প্রচারে নেমে এভাবেই বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণে ঘুরেফিরে এল টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের কথাও। বললেন, ভারতের টুকড়ে টুকড়ে গ্যাংকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বিরোধীরা। তবে মোদীর ভাষণে নেই জামিয়া ও শাহিন বাগে বন্দুক হাতে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের কথা।
কড়কড়ডুমায় এদিনের জনসভায় মোদী শাহিন বাগের নাম করে আক্রমণ শানান আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসকে। মোদীর দাবি, শাহিনবাগে তিরঙ্গা পতাকা এবং সংবিধানকে সামনে রেখে আসলে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে আপ ও কংগ্রেস। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ সমাবেশের ফলে বিপদে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। মানুষকে বিপদে ফেলাই এই দুই রাজনৈতিক দলের একমাত্র এজেন্ডা বলেও অভিযোগ নরেন্দ্র মোদীর। তারপরই মোদী বলেন, দিল্লিবাসী ঠিক করেছে এই মানসিকতাকে এখানেই আটকে দিতে হবে। তাই সবাই বিজেপিকে ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আজ এদের আটকে না দিলে, কাল দেখবেন অন্য কোনও গলি বন্ধ করে বসে পড়েছে।
অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুর সহ বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লি দখলের লক্ষ্যে খোলাখুলি মেরুকরণে নেমেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই প্রেক্ষিতে প্রথমবার ভোট প্রচারে নেমে মোদী কী বলেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী মেরুকরণের নয় উন্নয়নের কথাই বলবেন। আবার অন্য একটি অংশের মতে, কাজের নিরিখে ভোট চাওয়া কেজরিওয়ালকে শুধুমাত্র উন্নয়নের মন্ত্র জপে হারানো যাবে না, তা স্পষ্ট বুঝতে পারছে বিজেপি। তাই অমিত শাহ, অনুরাগ ঠাকুরদের দেখানো পথে হাঁটতেই হবে মোদীকেও। কড়কড়ডুমার সভায় দেখা গেল মোদীর মুখেও উঠে এল শাহিনবাগ।
তবে এদিন নির্বাচনী সভা থেকে মোদী বারবার কেজরিওয়ালের আপ সরকারকে গরিব বিরোধী বলেও দাবি করেন। তাঁর মন্তব্য, কেজরিওয়াল গরিবের উন্নতি সহ্য করতে পারেন না বলেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা দিল্লিতে কার্যকর করতে দিচ্ছেন না।
Comments are closed.