কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে গেল বর্ষার মরসুম। সেই সঙ্গে এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারের ফলে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
সোমবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে পড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির দাপট চলতে পারে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে আরও ৪৮ ঘণ্টার বেশি। সোমবার দুপুরের পর থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়েছে। আগামী চার মাস ধরে ভারতে জারি থাকবে বর্ষার মরশুম। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ৭৫ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু মানে কৃষিপ্রধান দেশ ভারতের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নির্ভর করে বর্ষার জলের উপরে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস প্রথম সপ্তাহে কেরলের দক্ষিণ প্রান্তে প্রবেশ করবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
কেরলে সঠিক সময়ে বর্ষা প্রবেশ করায় ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতেও সঠিক সময়েই বৃষ্টি শুরু হবে বলে আশা করছেন আবহবিদরা। চলতি বছরে বর্ষা বিশেষ কার্পণ্য করবে না বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
এদিকে আমপানের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড় চোখ রাঙাচ্ছে। এবার আরব সাগরের উপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত উপকূলের দিকে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে এ পরিণত হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ( সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) এর রূপ নেবে। আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটার।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসম ভবন জানিয়েছে, এই ঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। লাক্ষাদ্বীপ, কেরল এবং উপকূলীয় কর্নাটকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোঙ্কণ, গোয়া, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে এবং গুজরাতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
Comments are closed.