ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তনের পরের দিন শনিবার দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির ক্যামাক স্ট্রীটের অফিসে যান মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংসু রায়। হাইভোল্টেজ এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কৌতূহল ছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অভিষেক ব্যানার্জির হাতে ৩৫ জন বিজেপি নেতার নামের একটি তালিকা তুলে দিয়েছেন মুকুল রায়। বলা বাহুল্য এই ৩৫ জনেরই বিজেপি ত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ৩৫ জনের মধ্যে যেমন তৃণমূলত্যাগীরা রয়েছেন সেই সঙ্গে বিজেপিরও একাধিক জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
আর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। মুকুল রায়ের ‘৩৫ জনকে’ চিহ্নিত করতে তৎপর গেরুয়া শিবির।
শনিবারই খবর আসে, যোগদানের দিন রাতেই মুকুল রায় তৃণমূলের সাত আটজন বিধায়ক এবং দু’জন সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফোনে। সেই নিয়ে একটা উদ্বেগ ছিলই গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু নতুন করে এই ৩৫ জনের নামের তালিকার কথা প্রকাশ্যে আসতে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
ইতিমধ্যেই পদ্ম শিবিরে দলত্যাগে ইচ্ছুক এমন বিধায়কদের এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, দলত্যাগী আইনটা থাকলেও তা এতদিন বাংলায় কার্যকারী হয়নি। এবার তিনি তা প্রয়োগ করবেন।
মুকুলের দল ছাড়ার পরেই বেসুরো অর্জুন সিংহ ঘনিষ্ঠ নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি নেতা সুনীল সিংহ।
প্রকাশ্যে মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার দাবি করে জল্পনা বাড়িয়েছেন বিজেপির আরেক বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
রবিবারও মুকুল রায় সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন তাঁর সঙ্গে ‘প্রচুর’ বিজেপি নেতা যোগাযোগ করছেন ।
সব মিলিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনে রাজ্য বিজেপিতে যে ভাঙ্গন ধরবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে ভাঙ্গন কতটা ঠেকানো যায় তা নিয়েই এখন কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব।
Comments are closed.