মুম্বইয়ের বান্দ্রা রেল স্টেশনে ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সাংবাদিক। এবিপি মাঝার সাংবাদিক রাহুল কুলকার্নির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর করা একটি খবর ভিন রাজ্য থেকে আসা এই শ্রমিকদের বিপথে চালিত করেছে।
পুলিশের অভিযোগ, এবিপি গ্রুপের মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝাতে এই সংবাদ সম্প্রচারিত হওয়ার পর, পরিযায়ী শ্রমিকেরা বান্দ্রা স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন। এই খবরে দাবি করা হয়েছিল, যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা আটকে পড়েছেন তাঁদের জন্য পরিষেবা চালু করার ভাবনাচিন্তা করছে রেল। কিন্তু কবে এই পরিষেবা চালু হবে তার কোন উল্লেখ খবরে ছিল না।
এবিপি মাঝার সাংবাদিক রাহুল কুলকার্নির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫বি, ২৬৯, ২৭০, ১৮৮, ১১৭ ধারা সহ ১৮৯৭-এর মহামারি আইনের ৩ নম্বর সেকশনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় এই চ্যানেলে সম্প্রচারিত একটি খবরে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে তাঁদের এক সাংবাদিককে বান্দ্রা স্টেশনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জমায়েতের জন্য উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একইভাবে নভি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা জনৈক বিনয় দুবেকেও গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। অভিযোগ, একটি ভিডিও পোস্ট করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বান্দ্রা স্টেশনে জমায়েতের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
১৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেদিন সকালেই এবিপি মাঝাতে একটি খবর সম্প্রচারিত হয় যে এই শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেল পরিষেবা চালু হতে পারে। বেলা গড়াতেই বান্দ্রা স্টেশনে শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। শেষপর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। জানা গিয়েছে, বান্দ্রায় জমায়েত হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা মূলত বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশের লোক।
Comments are closed.