বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার, রাজ্যে মৃত বেড়ে ৭, আক্রান্ত ৯৫

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার। বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরোলে মুখ এবং নাক থেকে যাতে কোনওভাবেই সংক্রমণ না ছড়ায়, সেজন্যই মাস্ক পরা আবশ্যিক করা হল।
রবিবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীবা সিনহার জারি করা এই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, বাজার চলতি মাস্ক ছাড়াও ভাঁজ করা যে কোনও কাপড়ের টুকরো, ওড়না, গামছা, রুমাল বা যে কোনওভাবে মুখ-নাক ঢাকা দেওয়ার জিনিস ব্যবহার করতে হবে।
কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ মূলত নাক, মুখ এবং চোখ থেকে ছড়ায়। আক্রান্তের হাঁচি, কাশির ড্রপলেট বিপরীত দিকের মানুষকে অসুস্থ করতে পারে। মাস্ক পরলে এই সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। দিল্লি, গুজরাত সহ একাধিক রাজ্য আগেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে।
এদিকে, রবিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে জানানাও হয়েছে, করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। তবে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের খবর নেই বলেও জানাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল।
রবিবার বহু করোনা পজিটিভ মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১ জন এবং উত্তরবঙ্গের ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অথবা কোয়ারেন্টিন সেন্টারে গিয়েছেন।
এ পর্যন্ত  ১ হাজার ৭৫৬ জনকে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৮৫ জন। ২ হাজার ৫২৩ জনের রক্ত ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৬২৪ জনের গৃহ পর্যবেক্ষণের মেয়াদ শেষ হয়েছে এবং ১২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ তে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানাচ্ছে প্রশাসন।

 

Comments are closed.