বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মধ্য কলকাতা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে । কিছু ছাত্র ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ জল কামান ব্যবহার করে , মাইকিং করে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেসামাল হলে পুলিশ লাঠি চার্জ করতে শুরু করে। পালটা মিছিলের দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। জখম বহু ছাত্র-যুব।
এদিন এসএন ব্যানার্জি রোডে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বাম ছাত্রদের খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশ ও RAFএর বিশাল বাহিনী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাঠি হাতে তেড়ে যায়। একাধিক বাম ছাত্র যুবক রাস্তায় শুয়ে পড়েন। আহত ছাত্রদের আম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ৭৫ জন আহত ছাত্র মেডিকেল কলেজে ভর্তি। বেশকিছু ছাত্র গুরুতর জখম বলেও জানাচ্ছে বাম নেতৃত্ব। আইসিউতে একজন ছাত্রকে রাখা হয়েছে বলে খবর। অন্য এক ছাত্রের চোখের আঘাত গুরুতর বলে গিয়েছে।
ছাত্রদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে শুক্রবার বামেরা ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে। কংগ্রেস বনধকে সমর্থন করেছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মম্মদ সেলিম। তিনি তৃণমূল, বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন। বলেন, বিজেপির রথযাত্রাকে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে আর ছাত্র যুবর চাকরির দাবিতে মিছিল পুলিশ দিয়ে আটকাচ্ছে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ বলেন,মানুষ যখন পথে নামছে, বিজেপি রথে চড়তে চাইছে। যারা তৃণমূলে দুর্নীতি করেছে তাদের বিজেপি রথে তুলে নিচ্ছে।
Comments are closed.