অনলাইন ক্লাস: ২৭% পড়ুয়ার কাছে নেই স্মার্টফোন-ল্যাপটপ, ৩৩% এর কাছে ক্লাস করাই ‘কঠিন’, বলছে NCERT

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীরা অসুবিধায় পড়েছে। অতিমারির প্রেক্ষিতে ৭০ শতাংশ স্কুল-কলেজের পড়ুয়া এবং নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া যুব সম্প্রদায়ের শিক্ষা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বলে আগেই তথ্য দিয়েছিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)। এবার ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT) এর এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, অনলাইন ক্লাসের জন্য দেশের ২৭ শতাংশ পড়ুয়ার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ নেই। তবে যারা অনলাইন ক্লাস করেছে, তাদের বেশিরভাগ অনলাইন ক্লাস নিয়ে খুশি। শুধু অঙ্ক ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলি অনলাইনে শেখার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে পড়ুয়ারা।

দেশব্যাপী সিবিএসই বোর্ডের স্কুল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ইত্যাদির মোট ১৮ হাজার ১৮৮ জন পড়ুয়ার উপর একটি সমীক্ষা চালায় NCERT। বুধবার সমীক্ষার তথ্য প্রকাশ্যে আনে শিক্ষা মন্ত্রক। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩৩ শতাংশ পড়ুয়া মনে করছে অনলাইন ক্লাস কঠিন অথবা ক্লান্তিকর। সমীক্ষায় প্রকাশ, অনলাইন ক্লাস করতে পারা ৮৪ শতাংশ পড়ুয়ার নির্ভরতার জায়গা স্মার্টফোন। মাত্র ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে টিভি এবং রেডিওর মাধ্যমেও অল্প সংখ্যক পড়ুয়া দূরশিক্ষা নিয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক লোডশেডিংকে অনলাইন যোগাযোগের অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাছাড়া অনলাইন ক্লাসে অঙ্ক ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলি বোঝার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের, উঠে এসেছে সরকারি সমীক্ষায়।

যেহেতু পাঠ্যপুস্তকই কোনও ডিজিটাল ডিভাইসবিহীন শিশুদের একমাত্র শিক্ষার সম্পদ, তাই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে ওই পড়ুয়াদের বাড়িতে শিক্ষার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা রয়েছে। সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে পরামর্শ NCERT এর। তাদের আরও পরামর্শ, শিক্ষার নানা উপাদান, যেমন ওয়ার্কবুক, ওয়ার্কশিট, কুইজ, ধাঁধার বই ইত্যাদি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে। গ্রামের কমিউনিটি সেন্টারে একটি করে টিভি সেট সরবরাহের মাধ্যমে পড়ুয়াদের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম দেখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।

Comments are closed.