স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের অধীনে রেজিস্ট্রি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ও এড়িয়ে যায়, বিবাহ-বিতর্কে পাল্টা নিখিল
২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই নুরসতের করা বিবৃতির বিরুদ্ধে পাল্টা স্টেটমেন্ট জারি করলেন নিখিল জৈন। একদিন আগেই অর্থাৎ বুধবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে নুসরত জানিয়েছিলেন, নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ‘অবৈধ’। তাই ডিভোর্সের কোনও প্রশ্নই নেই। নিখিলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে সহবাসের নাম দিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী। এবার আইনজীবী মারফৎ নিজের বিবৃতি জারি করেন নিখিল জৈন।
নুসরতের সাত পয়েন্টের বিবৃতির বিরুদ্ধে নয় পয়েন্টে বিঁধলেন নিখিল। নিখিল তাঁর বিবৃতিতে জানান, তিনি নুসরতের প্রেমে পড়েছিলেন। তাই নুসরতকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। সেটি নুসরত উচ্ছ্বসিত হয়ে গ্রহণ করেছিল। এরপর ২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে নিখিল-নুসরতের সম্মতিতে বিয়ে হয়, সে কথাও উল্লেখ করেন বিবৃতিতে। পাশাপাশি জানান, আমরা স্বামী- স্ত্রীর মতোই আচরণ করতাম। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সামনেও আমরা দম্পতি হিসেবেই দাঁড়াতাম। সমাজের চোখে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছিলাম।
তারপরই বিবৃতিতে নিখিলের বিস্ফোরক মন্তব্য, ২০২০ সালের অগস্ট মাসে এসওএস কলকাতা ছবির শ্যুটিংয়ের সময় আচমকা তাঁর স্ত্রীর আচরণ পাল্টাতে শুরু করে। গত বছর নভেম্বরের ৫ তারিখ নুসরত নিখিলের আলিপুরের বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে যান। এবং বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে শিফট করেন।
নিখিল তাঁর বিবৃতিতে যোগ করেন, নুসরত নিজের সমস্ত মূল্যবান সম্পত্তি, কাগজ-পত্র সব গুছিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিফট করে যাওয়ার পরে নুসরতের জারুরি কাগজপত্র তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
নিখিল জানান, ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২০ সালের নভেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবেই থেকেছেন। এবং এই সময়কালের মধ্যে তিনি বহুবার নুসরতকে নিজেদের বিয়ে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট,১৯৫৪ এর অধীনে রেজিস্টার করতে বলেছিলেন। তবে বরাবর নুসরত এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ নিখিলের।
ইতিমধ্যেই নুসরতের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন নিখিল জৈন। নিখিল জানিয়েছেন, যে দিন জানলাম, নুসরত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না, অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি। নুসরতের মা হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিইনি আমি। নিখিল স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসে এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
Comments are closed.