আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি (TOWN & COUNTRY)-র শীর্ষ মানব-হিতৈষীদের তালিকায় স্থান পেলেন পেলেন নীতা আম্বানী। করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালে সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য যে সমস্ত সংগঠনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, সেই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নীতা আম্বানীর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেভাবে আম্বানীদের এই সংগঠন কাজ করেছে, তারই সম্মান দেওয়া হয়েছে এই মার্কিন পত্রিকায়। পত্রিকার গ্রীষ্মকালীন সংখ্যায় বলা হয়েছে, যেভাবে নীতা আম্বানীর নেতৃত্বে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন করোনা যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, দরিদ্র মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে, তা এককথায় অনন্য। নীতা আম্বানীই একমাত্র ভারতীয় যিনি এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাঁর পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছেন টিম কুক, লরেন্স পাওয়েল জোবসের মতো ব্যক্তিত্ব।
TOWN & COUNTRY হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পত্রিকাগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৮৪৬ সাল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। এর বার্ষিক সংখ্যায় নিজ নিজ ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রেষ্ঠ মানব দরদিদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেখানেই বলা হয়েছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অধীনে থাকা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন নামে সমাজ সেবামূলক সংগঠনটি লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য পৌঁছে দিয়েছে মাস্ক। এর পাশাপাশি দেশে প্রথম বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করেছে। এছাড়া আপৎকালীন তহবিলে দিয়েছে ৭২ মিলিয়ন ডলার।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানী মার্কিন পত্রিকায় এই সম্মান প্রদান নিয়ে বলেন, যে কোনও মানব সঙ্কটের সময় দরকার হয় দ্রুত সাহায্যের। প্রয়োজন হয় ত্রাণ এবং পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতার। সঙ্কটের সময় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিকাঠামো তৈরি করেছি। যাতে খুব সহজ এবং তাড়াতাড়ি আর্ত মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। আর সেই সাহায্য যাতে কার্যকরী হয়, তার সুনির্দিষ্ট পরিকাঠামো তৈরিতেও আমরা জোর দিয়েছি। আমরা সন্মানিত যে এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্তরে এত গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মানবসেবার কাজ সরকারকে সাহায্য করার একটা উদ্যোগ এবং মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের জন্য এগিয়ে যাওয়া। আমরা সেটাই করে যাব।
নীতা আম্বানীর নেতৃত্বে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণের সময় মুম্বইয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে একটি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে। গত মার্চ মাস থেকেই সেই হাসপাতালে পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। পাশাপাশি, লকডাউনের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুরু হয় তাদের অন্ন সেবা প্রকল্প। এ পর্যন্ত গিয়েছে ৫০ কোটি মানুষের কাছে। এছাড়া করোনা মোকাবিলায় একাধিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মুকেশ ও নীতা আম্বানীর রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।
Comments are closed.