বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও প্রকাশিত হল না দ্য স্টেটসম্যান, দৈনিক স্টেটসম্যান। সংস্থার অভ্যন্তরীণ গোলমালের জেরে বুধবার কাগজ প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও ছাপা যায়নি দ্য স্টেটসম্যান ও দৈনিক স্টেটসম্যান। বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা ঐতিহ্যশালী সংবাদপত্রের ধর্মতলার অফিসে। ফলে বেনজিরভাবে পরপর দু’দিন প্রকাশিত হল না প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যশালী সংবাদপত্রটি।
তবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ বলে সূত্রের খবর। যদিও নিজেদের দাবিতেই অনড় ইউনিয়ন। এই প্রেক্ষিতে শনিবার কাগজ বের করতে রফাসূত্র খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে। সংস্থার নিজস্ব প্রেসে কাজ না হওয়ায়, শনিবার কাগজ বের করতে অন্য কোনও ছাপাখানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে সম্পাদকীয় বিভাগ।
জানা গিয়েছে, খুব সম্প্রতি সংস্থার পার্সোনেল বিভাগের এক আধিকারিককে সম্পাদকীয় দফতরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে অসাংবাদিক আধিকারিক ও কর্মীদের ইউনিয়ন। এই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই বুধবার মাঝ রাত পর্যন্ত সাংবাদিকরা দ্য স্টেটসম্যান অফিসে কাজ করেন এবং নিয়ম মাফিক সারাদিনের খবর প্রস্তুতও করেছিলেন। কিন্তু বেশি রাতে অসাংবাদিক কর্মীদের একটি বড় অংশ, যাঁরা সিস্টেম বিভাগে কাজ করেন, তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন। যার জেরে কাগজ আর ছাপা যায়নি। বৃহস্পতিবারও সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মীরা সারাদিন কাজ করেন। কিন্তু ছাপা না হওয়ায় শুক্রবার সকালেও বেরোয়নি ঐতিহ্যবাহী ইংরেজি দৈনিক দ্য স্টেটসম্যান এবং বাংলা দৈনিক স্টেটসম্যান।
Comments are closed.