নারী নিজের ক্ষমতায় ক্ষমতাশালী হলেই, তাঁর নামের পাশে নানা তকমা বসানো হয়, নারী হওয়ার বিড়ম্বনায় ভুগছেন নুসরত
এক সপ্তাহ হয়ে গেছে নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই জল্পনা নিয়ে তোলাপাড় টলিপাড়া, স্যোশাল মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যমগুলি। বরাবরই তিনি নিজের ইচ্ছে মতো জীবন কাটাতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। তাই কি তাঁকে নিয়ে এত গুঞ্জন, এত বিতর্ক? এবার নিজেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন নেটিজনের কাছে।
মঙ্গলবারের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আন্তর্জাতিক কবি সাবা খোদিরের একটি কবিতা থেকে কয়েকটি লাইন ধার করে সাংসদ-অভিনেত্রী বলতে চাইলেন, নারীকে সবার পরামর্শ, শক্তিশালী হও। সেই নারী আপন শক্তিতে নিজের অবস্থান বদলালেই সমাজের চোখে তার পরিচয় বদলে যায়! তার নামের পাশে তখন নানা তকমা। তত ক্ষণে সেই নারী নিজের ক্ষমতায় ক্ষমতাশালী। ফলে, যতই তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক, সে কারওর কথাই শুনবে না!
সারা খোদির এই কবিতার সঙ্গে নুসরতের জীবন যেন মিলেমিশে একাকার! তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন তবে কি ঘুরিয়ে নিজের জীবনের কথাই বলতে চাইলেন নুসরত? নিখিলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে নিয়ে বিতর্ক, যশের সঙ্গে প্রেম থেকে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত, নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে ভাবে কাঁটাছেড়া হয়েছে তাতে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সাংসদ অভিনেত্রী। এত কিছুর পর তিনি মানসিকভাবে ভীষণরকমভাবে দৃঢ়। সমাজকে তিনি পরোয়া করেন না, রুখে দাঁড়ানোর মন্ত্র জানেন অভিনেত্রী।
বরাবরই নিয়মের বেড়াজাল ভেঙেছেন নুসরত। সমাজের চোখ রাঙানিকে কখনই তোয়াক্কা করেননি। তাই নিখিলের সঙ্গে ‘বিয়ে’ হওয়ার পরেও তাঁকে যেমন কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল, তেমনই বিয়ে ভাঙার পরও কেউ তাঁকে ছেড়ে কথা বলেনি। এখানেই শেষ নয়, কেন তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে সংসার করছেন! ভিন্ন ধর্মী হয়ে কেন তিনি দুর্গা সেজেছেন, এসব নিয়েও কম আক্রমণ করা হয়নি তাঁকে।
নিখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের নাম বদলে ফেলা থেকে শুরু করে সন্তানধারণ, সব নিয়েই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
গত সপ্তাহে নুসরতের বেবি বাম্পের ছবি ফাঁস হলেও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। নুসরত জাহানের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই নেট দুনিয়ায়। গত কয়েক দিন ধরেই শুধু বাংলার নয়, গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে চর্চিত বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের তারকা সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের ব্যক্তিগত জীবন।
Comments are closed.