তিহারে বন্দির পিঠে ছ্যাঁকা দিয়ে ‘ওম’ লেখার অভিযোগ, জেল সুপারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল্লির আদালতের

তিহার জেলের এক বন্দির পিঠে ছ্যাঁকা দিয়ে ‘ওম’ লেখার অভিযোগ জেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজেশ চৌহানের বিরুদ্ধে। সাবির ওরফে নাব্বির নামে ওই বন্দিকে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে তিহার জেলের ৪ নম্বর সেলে বন্দি রয়েছেন সাবির ওরফে নাব্বির। গত ১২ ই এপ্রিল কনভেকশন স্টোভ কাজ করছে না বলে জেল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান ওই বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, তাতেই ক্রুদ্ধ হন জেল সুপার রাজেশ চৌহান। নিজের অফিসে ডেকে পাঠিয়ে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ওই জেলবন্দির পিঠে ছ্যাঁকা দিয়ে ‘ওম’ লেখা হয় বলে তাঁর পরিবারের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, তাঁকে দু’দিন খাবার পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। গত ১৬ ই এপ্রিল ওই বন্দির পরিবারের অভিযোগের পক্ষে আইনজীবী জগমোহন তাঁর মক্কেল অমানুষিক নির্যাতন ও নৃশংসতার শিকার হয়েছেন বলে আদালতে সওয়াল করেন। এই প্রেক্ষিতে অবিলম্বে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির একটি আদালত। আদালত জানায়, অভিযুক্ত সুপারিনটেন্ডেটের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা অত্যন্ত গুরুতর, অবিলম্বে এর তদন্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে অতি সত্ত্বর জেলবন্দী সাবিরের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ডিজিপিকে নোটিস পাঠায় করকরডুমা আদালত। পাশাপাশি, জেলের সিসিটিভি ফুটেজ ও অভিযুক্ত সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজেশ চৌহানের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়।
গত বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট এই নির্দেশে জানিয়েছিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে যাবতীয় তথ্য পেশ করতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট  আদালতে পেশ করা হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার নয়।

Comments are closed.