আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার কালীপুজো। এদিন রাত্রে কালীপুজোর পাশাপাশি পড়েছে উত্তর ভারতীয়দের দীপাবলিও। দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে বাংলা সহ ভারতের সর্বত্র পালন করা হবে কালীপূজো। তবে জানেন কি এদিন রাত্রে কালীঘাটে হবেনা কালীপুজো। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কালীপুজোর রাতে কালী মন্দিরে করা হয়ে থাকে কালী শক্তির আরাধনা। কিন্তু কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যায় তিথিতে কালীঘাটে কালীপুজোর জায়গায় করা হয়ে থাকে লক্ষ্মীপুজো। কাল রাতে কালীঘাটের মন্দিরের গর্ভগৃহের দক্ষিণাকালীকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা করা হবে। চলুন জেনে নিন কেন।
কালীঘাটের মন্দিরে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজোর জায়গায় করা হয়ে থাকে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। এর পিছনে রয়েছে এক দীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে জানা যাবে, কালীঘাটের মন্দির তৈরি করেছিলেন সাবর্ণ রায়চৌধুরী। তারপরে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ চক্রবর্তীকে। তিনি ছিলেন রায়চৌধুরী পরিবারের জ্ঞাতি। গঙ্গাপ্রসাদ চক্রবর্তী ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত। তিনি শুরু করেছিলেন দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজোর বদলে মহালক্ষ্মীর আরাধনা। তারপর থেকেই প্রত্যেক বছর কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীঘাটের মন্দির মা কালীর বদলে আরাধনা করা হয় ধনের দেবী মা লক্ষ্মীর।
তবে কালীঘাটের কালী পুজোর দিন ভোর পাঁচটায় নিয়ম মেনে করা হয় দক্ষিণাকালীর আরাধনা। এরপর সন্ধ্যেবেলাতে মন্দিরে পাট কাঠি জ্বালিয়ে মন্দিরের চারিপাশে প্রদক্ষিণ করে অলক্ষী তাড়ানো হয়। অলক্ষী তাড়ানোর পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় গোটা মন্দির। তারপরেই কালীঘাটের গর্ভগৃহের শুরু হয় লক্ষ্মী পুজো। পুজো শেষে ভোগ চড়ানো হয় রাতে।
Comments are closed.