জেনে নিন কী পার্থক্য রয়েছে উত্তর ভারতীয়দের দীপাবলি ও বাঙালিদের কালীপূজার মধ্যে

শীঘ্রই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আলোর রোশনাইতে সেজে উঠবে গোটা দেশ। বাঙালিদের কালীপুজো সঙ্গে ভাইফোঁটা আর উত্তর ভারতীয়দের দীপাবলি উৎসব পাঁচদিনের। এই পাঁচদিন জুড়ে উৎসবের আমেজে মেতে উঠবে সকলে। চলুন দেখে নিন, ভারতের সর্বত্র কীভাবে পালিত হয় দীপাবলি ও কালীপুজো।

প্রথা অনুযায়ী, উত্তর ভারতীয়দের ধনতেরাস পালিত হয় কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে। এই তিথিতে আরাধনা করা হয় ধন ও সম্পত্তির দেব দেবী ধন্বন্তরী, লক্ষ্মী, কুবের ও যমের। প্রচলিত মতে, এইদিন ধাতব বস্তু কিনলে তা তেরো গুণ বেড়ে যায় পরিমাণে। তাই অনেকেই সোনা কেনেন এই দিন। পাশাপাশি এই দিন রাতে যমরাজের উদ্দেশ্যে বাড়ির চৌকাঠে জ্বালানো হয় মাটির প্রদীপ। চলতি বছরে ১২ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার রাত ৯:৩০ মিনিটে ত্রয়োদশী তিথিতে শুরু হবে দীপাবলি। এবং তার পরেরদিন বিকেল ৫:৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে তিথি।

পুরাণ অনুসারে, অকালবোধন এরপর দীপাবলীর দিনই অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রামচন্দ্র সীতাকে নিয়ে। তাঁদের ঘরে ফেরার আনন্দে মেতে উঠে দেশবাসী আলোর রোশনাইতে। সেদিন উত্তর ভারতে পুজো করা হয়ে থাকে ধন ও সম্পত্তির দেবী মা লক্ষ্মীকে। পাশাপাশি বাংলার রীতি অনুযায়ী, সেইদিন চলে অলক্ষ্মী পূজা।

অন্যদিকে বাঙালিদের কালীপুজো বা ভূত চতুর্দশী পড়েছে কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে। দীপাবলীর ঠিক আগের দিন। সেদিন চোদ্দ ভুবনের অধীশ্বরী দেবীর উদ্দেশ্যে বাড়িতে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো এবং চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে। বাংলায় দীপাবলীর তিথিতে হয় দীপান্বিতা অমাবস্যা। মা কালীর আরাধনা করা হয় সেইদিন। এবছর অমাবস্যা তিথি থাকবে ১৪ নভেম্বর দুপুর ২:১৮ থেকে পরের দিন ১৫ নভেম্বর সকাল ১০:৩৭ পর্যন্ত।

Comments are closed.