বয়স মাত্র ১৮ মাস। মুখে আধো আধো কথা। কিন্তু এই বয়সেই বাংলা ও ইংলিশ মিলিয়ে প্রায় ২৫ টি কবিতা ঠোঁটস্থ ছোট্ট ফারহা জামিয়ার। আর এতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলে ফেলল সে। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা সে। এই খবর পাওয়া মাত্র খুশির হাওয়া ওই এলাকায়। শুধুমাত্র ২৫ টি বাংলা ও ইংলিশ কবিতা নয়, সে বাংলা, ইংলিশ ১২ মাসের নাম, ৭ টি বার ও ৬ ঋতুর নাম ঝরঝর করে বলতে পারে। এই বয়সেই সব ফুল, ফল, গাছ, পশু, পাখির সঙ্গে পরিচিত সে।
রঘুনাথগঞ্জ থানার বড়শিমুল দয়ারামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদারামপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারহা জামিয়াকে দেখতে দূর দুরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই যা শুনত মনে রাখতে পারত সে। একটু বড় হতেই দেখা গেল, কিছু শেখানো হলে সহজে সেটা আয়ত্ত্ব করে নিচ্ছে। ফারহা জামিয়ার মা অহিদা ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, খুব অল্প বয়সে কথা বলতে শিখে গিয়েছিল মেয়ে। তখন ওর বয়স মাত্র কয়েকমাস। ঘুম পাড়ানির গান গেয়ে শোনাতাম। দেখলাম আধো আধো মুখে সেই গান মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। এরপর ছড়া শেখাতে শুরু করলাম। দেখলাম সেটাও কয়েকবার শোনার পরেই মুখস্থ করে ফেলছে। পশু, পাখি সব কিছুর নাম জানে আমার মেয়ে।
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তোলার জন্য প্রথমে ফারহা জামিয়ার একটি ভিডিও ক্লিপিংস পাঠানো হয়। পরে জানা যায় ওই ভিডিও ক্লিপিংস নয়। এইচডি ভিডিও দরকার। আর তা পাঠানোর পর সাফল্য আসে হাতের মুঠোয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানিয়েছেন, এবার আমরা চাই আমাদের বাড়ির মেয়ের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যাক। এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ভবিষ্যতে ওর নাম, যশ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। আমাদের এলাকার মেয়ে আমাদের গর্ব।
Comments are closed.