লোকাল ট্রেন যারা চালাতে পারছে না, তারা ভোট চাইছে কেন? উপনির্বাচনে আপত্তি জানিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে যা করোনা পরিস্থিতি তাতে উপনির্বাচন করানো উচিত নয়।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে শতাধিক পুরসভা, কর্পোরেশনে এতদিন কোনও ভোট হয়নি। বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে এত তাড়া কিসের? তারপরেই তাঁর তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ, বিজেপি যদি উত্তরাখণ্ডে অ-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে একজন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন, তাহলে বাংলায় অসুবিধা কোথায়?
উল্লেখ্য রাজ্যে সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। যার মধ্যে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সংবিধান অনুযায়ী নন্দীগ্রামে হারের পর ছয় মাসের মধ্যে কোনও একটি বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
রাজ্যে উপনির্বাচনের দাবিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এবং কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি জানায়। রাজ্যে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কমিশন সাতদিন প্রচারের জন্য সময় দিয়ে নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে বলে কমিশনে জানায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি জানান, আলোচনা সদর্থক হয়েছে, আশা করছি দ্রুত নির্বাচন সম্পূর্ণ হবে। এদিকে শুক্রবারই দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভার উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
Comments are closed.