করোনার দাপটে গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। করোনা রুখতে দুনিয়া জুড়ে গবেষকরা ওষুধ খুঁজছেন। এবার সেই যুদ্ধে সামিল হল বাবা রামদেবের পতঞ্জলি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে খুব শিগগিরই তারা ওষুধ আনছে৷ সম্পূর্ণ ভেষজ এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, আমরা আর ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য নয়, করোনা নির্মূলের কথা বলছি। তিনি বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই পতঞ্জলি করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু করেছে। মার্চ পর্যন্ত কয়েক হাজার রোগীর চিকিৎসা করেছে রামদেবের সংস্থা। তবে এই চিকিৎসা কোনওভাবেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অংশ ছিল না। এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রেগুলেটরি অনুমতি মেলার পরই মানব শরীরে পতঞ্জলি ওষুধের প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
পতঞ্জলি গ্রুপ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েই ইন্দোর ও জয়পুরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে তারা।
কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক খুঁজছে জনসন অ্যান্ড জনসন, মডার্ন ফার্মা, গ্যলাক্সি ফার্মার মতো বিশ্ববিখ্যাত সব ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। তাদের পাশে এবার নাম জুড়ল রামদেবের সংস্থারও। পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, ভারতে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই কোভিড ১৯ রোগীর চিকিৎসা করে আসছে পতঞ্জলি৷
প্রসঙ্গত, যোগগুরু নামে পরিচিত উদ্যোগপতি রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সারা দেশে নিজেদের বাজার তৈরি করেছে। তথ্য বলছে, ২০১৯ আর্থিক বছরে পতঞ্জলির টার্নওভার ছিল ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ কাজ করেন এই সংস্থায়। ভারতে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে যে সংস্থা নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে, সেটা হল পতঞ্জলি। যদিও পতঞ্জলির পণ্যের গুণগত মান নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এসবের মাঝেই এবার কোভিড ১৯ মুক্তির ওষুধের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে রামদেবের সংস্থা।
Comments are closed.