লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়তো ঠিক, কিন্তু ২১ দিন অনেক বেশি। করোনা মোকাবিলায় গরিবদের জন্য তেমন প্রস্তুতি ছাড়া এই লকডাউন দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগামী তিন সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণার সমালোচনা করলেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট তথা জেডিইউ -র প্রাক্তন নেতা প্রশান্ত কিশোর। ট্যুইটারে পিকে-র মত সমর্থন করে প্রাক্তন সাংবাদিক, লেখক ও চিত্র প্রযোজক প্রীতিশ নন্দীর মত, ভারত ইতিমধ্যেই কঠিন সময়ের মধ্যে পড়ে গিয়েছে।
দেশে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু পৌঁছেছে ১১-এ, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০০। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ঘোষণায় জানান, গোটা দেশ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।
করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের লকডাউনের সিদ্ধান্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে মনে করলেও, এর সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের ছক তৈরি করে দেওয়া প্রশান্ত কিশোর। বুধবার সকালে এক ট্যুইটে তাঁর দাবি, কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই এই তিন সপ্তাহের লকডাউন দেশের অর্থনীতিকে হয়ত শেষ করে দেবে। এর বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে গরিবদের।
তবে প্রশান্ত কিশোরের এই ‘হয়ত’ শব্দের বিপক্ষে গিয়ে প্রীতিশ নন্দী ওই ট্যুইটের কমেন্টে লেখেন, হয়ত নয়, দেশ ইতিমধ্যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আরও এক কদম এগিয়ে তিনি জানান, টিভির পর্দায় যাঁরা অনর্গল বকে চলেছেন, তাঁরা এই গরিব, প্রান্তিক মানুষদের জীবন সহজ করতে পারবেন না। দেশের সামনে কঠিন সময় উপস্থিত হয়েছে, লেখেন প্রীতিশ নন্দী।
দেশজুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, এই ২১ দিনে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২১ বছর পিছিয়ে যাবে দেশ।
Comments are closed.