লকডাউনের পর বিমান যাত্রার জন্য গুনতে হতে পারে আকাশ ছোঁয়া ভাড়া, টিকিটের দাম বাড়তে পারে ৩ গুণ পর্যন্ত
লকডাউন শেষ হলে আকাশ ছুঁতে পারে আকাশ যাত্রার খরচ। ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ইকনমিক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, খোলার পর প্রথম কয়েকদিন বিমান ভাড়া হতে পারে বন্ধ হওয়ার আগের ভাড়ার ৩ গুণেরও বেশি।
লকডাউন আরও দু’সপ্তাহ বেড়েছে ঠিকই কিন্তু সেইসঙ্গে ফের অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালুর ইঙ্গিতও মিলতে শুরু করেছে। বিমান সংস্থাগুলো তাদের বিমানে ডিপ ক্লিনজিং শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও কিছুদিন পর বিমান পরিষেবা চালু হলেও বজায় রাখতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং। স্বভাবতই একটি বিমানে সাধারণ সময় যত জন যাত্রী যাতায়াত করেন, করোনা মহামারির জেরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই বিমানে যেতে পারবেন তার মাত্র এক তৃতীয়াংশ।
দ্য ইকনমিক টাইমস সূত্রের খবর, বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো এখন ব্যস্ত আসনের বিন্যাস স্থির করতে। সেক্ষেত্রে কীভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলে যাত্রী পরিবহণ করা যায় তা ঠিক করতে চলছে কাটাছেঁড়া। একটি অংশের মত, তিন আসন বিশিষ্ট সারিতে জানালার পাশে বসবেন একজন। তার পিছনের সারিতে একেবারে অন্যপাশের জানালার পাশে বসবেন আরেকজন। এর ফলে একটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে প্রতি দু’জন যাত্রীর মধ্যে।
একটি সাধারণ ১৮০ আসনের এয়ারক্র্যাফ্টে ৩০ টি সারি থাকে। প্রতি সারিতে ৬ টি করে আসন। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানতে হলে বিমানে যাত্রী যেতে পারবে মাত্র ৬০ জন। এই বিপুল ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিমানের টিকিটের দাম দেড় থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। সংস্থার সিইও রণজয় দত্ত বলছেন, আপাতত কিছুদিনের জন্য অন বোর্ড মিল বা বিমানে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি বন্ধ রাখছেন তাঁরা। পাশাপাশি বিমানবন্দর থেকে যে বাসে যাত্রীদের বিমান পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী তোলা হবে বলেও জানিয়েছে রণজয় দত্ত।
তবে বিমান সংস্থাগুলো সাজো সাজো রব তুললেও, সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট মতামত পাওয়া যায়নি। ২১ দিনের লকডাউন আরও দু’সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। ফলে এপ্রিল মাসে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
Comments are closed.