শুক্রবার এনসিপি প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার সকাল ১০.৪৫ নাগাদ পিকে পৌঁছন মুম্বইয়ের পেডার রোডে শরদ পাওয়ারের বাসভবন সিলভার ওক রেসিডেন্সিতে। দুপুর দুটো পর্যন্ত বৈঠক চলে। বিকেলে তৃণমূল নেত্রী জানান, তিনি পিকেকে শরদ পাওয়ারের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। এরপর একে একে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলের কাছে মমতা দূত হিসেবে পিকে যাবেন এবং পাশে থাকার জন্য শুভেচ্ছা জানাবেন।
মুকুলের ঘর ওয়াপসির দিনই তবে কী বিজেপি বিরোধী মহাজোটের সলতে পাকানো শুরু হয়ে গেল? রাজনৈতিক বিশেজ্ঞদের একাংশের অন্তত তাই মত।
আরব সাগরের তীরে এই হাইভোল্টেজ বৈঠকের দিন কয়েক আগে কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক শেষে মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
অন্যদিকে অভিষেক ব্যানার্জি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েই জাতীয় স্থরে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেত্রীর দূত হিসেবে পিকের সঙ্গে এনসিপি প্রধানের বৈঠকের অন্যরকম তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
২০২১ তৃণমূল রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়েছে। তৃণমূলের এই বিরাট জয়ের নেপথ্যে পিকে অভিষেক জুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মত একপক্ষের।
যদিও দু’তরফেই দাবি করা হয়েছে এটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু রাজনৈতিক মহল বলছে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে পিকের বৈঠক বিভিন্ন দিক থেকে আগামীর রাজনীতির দিশা নির্দেশ দেবে।
ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশ মনে করছে, মমতা-পাওয়ার জুটিকে সামনে রেখেই শুরু হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার কৌশল। শুক্রবারের পাওয়ার-লাঞ্চ তারই প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন তাঁরা।
পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করে বেরনোর পর প্রশান্ত কিশোর দেখা করেন শাহরুখ খানের সঙ্গে। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে কেন দেখা করলেন মমতার দূত? এক্ষেত্রেও অবশ্য সৌজন্য সাক্ষাতের কথাই বলা হয়েছে। ফলে জল্পনা বাড়ছে।
Comments are closed.