প্রথমে আমরা করোনা টেস্টের সংখ্যা চেপে গিয়ে ”ফ্ল্যাটেন দ্য কার্ভ” বা সংক্রমণের রেখাচিত্রকে নামানোর চেষ্টা করেছি। এখন আরটি পিসিআর টেস্টের সংখ্যা কমাচ্ছি। দেশে করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে ফের কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের। প্রশ্ন তুললেন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ফলস নেগেটিভ ফল দেওয়ার জন্য বিশেষ পরিচিত।
বৃহস্পতিবার ট্যুইটে কেন্দ্রকে বিঁধে প্রশান্ত কিশোর লেখেন, আমরা প্রথমে করোনা টেস্টিং সীমিত করে সংক্রমণের রেখচিত্র নামানোর চেষ্টা করেছি। এখন আরটি পিসিআর পরীক্ষা সীমাবদ্ধ করে তার পরিবর্তে সামঞ্জস্যহীনভাবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করছি। যা বেশিরভাগ সময়ে ভুল ও নেগেটিভ রেজাল্ট দেওয়ার জন্য পরিচিত।
কেন্দ্র জানাচ্ছে দেশে এখনও পর্যন্ত ২.২১ কোটি করোনা পরীক্ষা হয়েছে। বুধবারেই ৬.৬৪ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু আরটি-পিসিআরের পজিটিভ কেসের সঙ্গে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের ফলের পার্থক্য নিয়ে বহুবার অভিযোগ উঠলেও গত দু’মাস ধরে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টিংয়েই আস্থা রেখেছে কেন্দ্র।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ রয়েছে কিনা, তা শনাক্ত করতে এই র্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। কিন্তু এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গত এপ্রিল মাসে সব রাজ্যকে ত্রুটিপূর্ণ র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। সম্প্রতি তা ফের শুরু হয়। বর্তমানে দেশজুড়ে করোনা টেস্টিংয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে তার বেশিরভাগই র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট (RAT) এর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতির পরীক্ষায় বেশিরভাগ সময় ফলস নেগেটিভ ফল আসছে। যা বিভ্রান্তি তৈরি করছে পাশাপাশি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবার পরীক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন সময় লাগছে বেশি, তেমনই কিটের খরচও বাড়ছে।
এর আগে কোভিড মোকাবিলার বিভিন্ন দিক নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে পাবলিক হেলথে চাকরি করা প্রশান্ত কিশোর। দিয়েছিলেন একাধিক পরামর্শও। এবার তুললেন গুরুতর প্রশ্ন।
Comments are closed.