জাতীয় রাজনীতিতে দলকে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করতে এবার তৃণমূল গোয়কেও পাখির চোখ করলো। ইতিমধ্যেই টিম পিকের ২০০ জন্য সদস্য পৌঁছে গিয়েছেন সৈকত শহরে রাজনীতির হওয়া বুঝতে। আর শুক্রবার দিন গোয়া গেলেন তৃণমূল সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি এবং দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সাতদিনের ঠাঁসা কর্মসূচি নিয়ে গোয়ায় গিয়েছেন ডেরেক ও প্রসূন ব্যানার্জি। শুক্রবার সকালে তাঁরা গোয়ার পানাজিতে পৌঁছেছেন। টানা সাত দিন ধরে তাঁদের নানান কর্মসূচি রয়েছে।
টিম পিকের ২০০ সদস্য ইতিমধ্যেই নিজেদের কাজ শুরু করেছেন। গোয়ার নানান জায়গায় ঘুরে ঘাসফুল শিবিরের জন্য রাজনৈতিক জমি প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। আই প্যাকের সদস্যদের সার্ভের তথ্য নির্ভর করেই সংগঠন বিস্তারের কাজ করবেন দুই সাংসদ। স্থানীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে মমতা ব্যানার্জি অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। কী নিয়ে তিন জনের কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সৈকত শহরে সংগঠন বিস্তার নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে পিকের কথা হয়ে থাকতে পারে।
সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরই অভিষেক জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও সংগঠন বিস্তার করাই প্রধান লক্ষ্য। একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পরে ত্রিপুরা এবং আসামে সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে ঘাসফুল শিবিরের উত্থান ঘটেছে। ২০২২ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচিন। আর তার আগেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Comments are closed.