রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ: নয়া কৃষি আইনে উপকৃত হবেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ
কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় রাষ্ট্রপতির গলায়
বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিন সংদের যৌধ অধিবেশনে নয়া কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। তিনি বলেন ‘নতুন তিনটি কৃষি আইনের ফলে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। কয়েকটি রাজ্য সরকার কৃষি আইনের প্রশংসা করেছে’৷
শুক্রবার সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। রীতি অনুযায়ী অধিবেশনের শুরুতে ভাষণ দেশের রাষ্ট্রপতির। এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ছিল কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রশংসা। কেন্দ্রের সরকার যে কৃষকদের পাশেই রয়েছেন তা বোঝাতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা।
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর ৱ্যালিকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, ভাষণে তারও সমালোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন ‘লালকেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সংবিধান, যার জন্য আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করি, আমাদের স্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু এটাও বলে যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিশ্চিত করা নাগরিকদের দায়িত্ব’৷
করোনাকালে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় রাষ্ট্রপতির গলায়। তিনি জানান, ‘করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়ে নজির সৃষ্টি করছে ভারত সরকার’৷
রাষ্ট্রপতির ভাষণে এদিন উঠে আসে জোতিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বাংলা গানের লাইন। একে বাংলার বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে বাঙালী আবেগে শান দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
এদিন বিরোধী শূন্য ছিল সংসদ কক্ষ। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূলের পাশাপাশি আরো ১৮ টি বিরোধী দল এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করে।
বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ লিখে দেয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতির ভাষণ অনুমোদন করে। নয়া কৃষি আইন কার্যকরী করার ক্ষেত্রে যে কেন্দ্রীয় সরকার অনড়, এদিন রাষ্ট্রপতির ভাষণে তা আর একবার স্পষ্ট।
Comments are closed.