রাম মন্দির তৈরিতে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিলেন রাষ্ট্রপতি, ১১ কোটি দান হিরে ব্যবসায়ীর

মন্দির নির্মাণে অনুদান নিতে উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবে ট্রাস্ট

গত বছর অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার শুরু হল মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে দিয়ে অর্থ সংগ্রহের সূচনা করল রাম মন্দির ট্রাস্ট।

শুক্রবার রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সহ-সভাপতি গোবিন্দদেব গিরিজি মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার, মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রধান নৃপেন্দ্র মিশ্র ও আরএসএস নেতা কুলভূষণ আহুজা। তাঁদের হাতে ৫ লক্ষ ১০০ টাকার চেক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি।

২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থ সংগ্রহের কাজ চলবে বলে জানিয়েছ ট্রাস্ট। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার বা তার বেশি টাকা মন্দুর নির্মাণে দান করতে পারবেন মানুষ। এর বদলে দেওয়া হবে। ২০০০ টাকার বেশি যারা দান করবেন তাঁদের জন্য থাকবে বিশেষ কুপন ব্যবস্থা। মিলবে আয়করে ছাড়। তাছাড়া ২০ হাজারের বেশি কেউ দান করতে চাইলে তা নেওয়া হবে চেকে।

জানা গিয়েছে, গুজরাতের হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া ১১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণে। তিনি বহুদিন থেকে আরএসএস সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাষ্ট্রীয় কার্যকারী অধ্যক্ষ আলোক কুমার বলেন, রাষ্ট্রপতির হাত দিয়েই রাম মন্দিরের টাকা সংগ্রহের কাজ শুরু হল। এরপর আমরা একে একে সবার কাছে পৌঁছে যাব। উপ-রাষ্ট্রপতির কাছেও যাওয়া হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরর কাছে যাওয়া হবে। তারপর ৫ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রামবাসীর কাছে পৌঁছে যাবে ট্রাস্ট।

এই প্রেক্ষিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিক্রিয়া, দেশের রাষ্ট্রপতি কোনও মন্দির নির্মাণে চাঁদা দিতে পারেন কি? পাশাপাশি অতিমারি পরিস্থিতিতে এই ট্রাস্টের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

Comments are closed.