কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায় পাঞ্জাবের পুরভোটে বিপর্যয় বিজেপির, দুর্দান্ত ফল কংগ্রেসের
ভাতিন্ডা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ৫৩ বছর পর মেয়র কোনও কংগ্রেস প্রার্থী
কৃষক আন্দোলনের ধাক্কা লাগল বিজেপির গায়ে। পাঞ্জাবে পুরভোটে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। ৮ টি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মধ্যে ৭ টিতে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। বিজেপি শূন্য। ধাক্কা খেয়েছে একদা বিজেপির জোটসঙ্গী শিরোমণি অকালি দলও। অপেক্ষাকৃত ভাল ফল নির্দল প্রার্থীদের।
১৪ ফেব্রুয়ারি ৮ টি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সহ ১০৯ টি পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েতের ভোট হয়। বুধবার ছিল ভোটগণনা।
কৃষক আন্দোলনের মাঝেই পাঞ্জাবের ভোটে নজর ছিল সকলের। কারণ আন্দোলনের ভরকেন্দ্র সেই পাঞ্জাব। ফল বেরোলে দেখা গেল ৮ টি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মধ্যে ৭ টি জিতে নিয়েছে কংগ্রেস। মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের মোট ১০৯ টি আসনের মধ্যে ৮০ টির ফল প্রকাশ হয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৬৫ টি আসন। ৫ টি পেয়েছে শিরোমণি অকালি দল। অন্যান্যরা পেয়েছে ১০ টি আসন। বাকি আসনের গণনা চলছে।
কংগ্রেস জিতেছে আবহর, ভাতিন্দা, কাপুরথালা, হোসিয়ারপুর, পাঠানকোট, মোগা এবং বাটলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে।
উল্লেখযোগ্য হল ভাতিন্ডা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ৫৩ বছর পর মেয়র হবেন কোনও কংগ্রেস প্রার্থী। এই পুরসভা এতদিন অকালি দলের দখলে ছিল। শিরোমণি অকালি দলও মুখ থুবড়ে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত ভাল ফল অন্যান্যদের।
পুর ভোটে দুর্দান্ত ফল করার পর উজ্জীবিত পাঞ্জাব কংগ্রেস। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটে যে কৃষক আন্দোলনের প্রভাব পড়বে তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। ফলে বিজেপির ফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু ফল বেরোতে দেখা গেল, শুধু খারাপ ফল নয় কোনও দাগ কাটতেই ব্যর্থ হয়েছে মোদী-শাহের পার্টি। পাঞ্জাব থেকে বিজেপি উচ্ছেদ হয়ে গেল বলে কংগ্রেস দাবি করছে। অন্যদিকে মুখে কুলুপ বিজেপি নেতাদের।
Comments are closed.