বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত, তৃণমূলে যোগদান পুরুলিয়ার শঙ্কর নারায়ণ সিংদেওর, কংগ্রেস ছেড়ে এলেন চঞ্চল মৈত্রও
তৃণমূলে যোগদান চলছেই। রবিবার পুরুলিয়া জেলায় বিজেপি ও কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে বহরে বাড়ল রাজ্যের শাসক দল। গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিলেন জেলার হেভিওয়েট নেতা শঙ্কর নারায়ণ সিংদেও। কংগ্রেসের হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে এলেন চঞ্চল মৈত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহল, বিশেষ করে পুরুলিয়া জেলায় বেশ ভালো ফল করেছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটেও তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এই এলাকা নিয়ে চাপেই ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে এলাকার দাপুটে নেতা তথা রাজ পরিবারের সদস্য শঙ্কর নারায়ণ সিংদেও তৃণমূলে যোগ দিলেন। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া শঙ্কর নারায়ণ সিংদেও ওই এলাকায় বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারিগর বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তিনি ছিলেন জয়পুর ব্লকের বিজেপি আহ্বায়ক। এবার তাঁর তৃণমূলে যোগদানে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের দাপট বাড়ল, চাপ বাড়ল বিজেপির। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যে যে কয়েকটি জায়গায় এখনও কংগ্রেসের দাপট আছে তার মধ্যে পুরুলিয়া অন্যতম। কিন্তু তৃণমূল এবার ভাঙন ধরালো কংগ্রেসের সেই দূর্গেও। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের জয়পুর ব্লকের প্রেসিডেন্ট তথা পুরুলিয়া যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট চঞ্চল মৈত্র।
রবিবার দলবদল অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো, জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু এবং জেলা কো-অর্ডিনেটর সুজয় ব্যানার্জি।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দলনেত্রী ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন সর্বস্তরের কাছে। সেই আবেদনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল ভবনে ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এক সময়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর ভাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে একদিনও বিরাম নেই। জলপাইগুড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি চলছেই। সপ্তাহ খানেক আগেই এই পুরুলিয়া জেলাতেই বিজেপির বাঘমুণ্ডি মণ্ডল কমিটি বিলীন হয়ে গিয়েছিল তৃণমূলে। এবার মমতা ব্যানার্জির ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও দুই দাপুটে নেতা শঙ্কর নারায়ণ সিংদেও এবং চঞ্চল মৈত্র। এর ফলে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া জঙ্গলমহলে ফের তৃণমূলের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কপালে ভাঁজ চওড়া হল বিজেপি নেতৃত্বের।
Comments are closed.