রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার পর এই প্রথম দেশের কোনও বড় রাজ্যে জয় পেলে কংগ্রেস। ২০২৪-এর আগে কংগ্রেসের কর্ণাটক জয় নিঃসন্দেহে হাত শিবিরকে আগামী লড়াইয়ের জন্য অক্সিজেন যোগাবে। ওদিকে কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল দক্ষিণভারতে রীতিমতো ঝটকা দিল পদ্মশিবিরকে। এদিকে কর্ণাটক জয়ের পরেও সারা দেশ জুড়েই কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা এখন উৎসবের মেজাজে। এই অবস্থায় বিরাট এই সাফল্যের পর কী বলছেন রাহুল গান্ধী?
এদিন ফলপ্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গন্ধ। প্রথমেই তিনি কর্ণাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে তাঁর কটাক্ষ, কর্ণাটকের এই লড়াইয়ে ছিল একদিকে কর্পোরেট শক্তি এবং অন্যদিকে রাজ্যের অসংখ্য সাধারণ, গরীব মানুষের মধ্যে লড়াই। কর্পোরেট জগৎকে হারিয়ে আম জনতার জয়ই হল কর্ণাটকের জয়। এরপরেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এক কথায় এই জয়কে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন তিনি। রাহুল গান্ধীর উত্তর, কর্ণাটকে ঘৃণা হেরেছে, ভালোবাসা জিতেছে।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রা করেন রাহুল গান্ধী। দক্ষিণভারত থেকে উত্তরভারত কয়েক মাস ধরে অগুনতি মানুষকে নিয়ে পথযাত্রা করেন রাহুল গান্ধী। যাতে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশিষ্ট নাগরিকরাও রাহুল গান্ধীর সমর্থনে হেঁটেছিলেন। কংগ্রেসে নেতৃত্বের এক বড় অংশের মতে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা কর্ণাটক নির্বাচনে বিরাট প্রভাব ফেলেছে।
Comments are closed.