৭ দিনে বদলে গেল কর্ণাটকের রায়! পুর নির্বাচনে কংগ্রেসের দুর্দান্ত ফল, বহু পিছনে বিজেপি, ফের প্রশ্নের মুখে ইভিএম

কর্ণাটকের পুর নির্বাচনের ফলের পর ফের মাথাচাড়া দিল ইভিএম বিতর্ক। ২৩ শে মে লোকসভার ফলে দেখা যায় কর্ণাটকের মোট ২৮ টি আসনের ২৫ টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ভরাডুবি হয় কংগ্রেস-জেডিএস জোটের। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে, ২৯ শে মে, পুরসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গেল, বেশিরভাগ আসনই জিতেছে কংগ্রেস-জেডিএস। যদিও এবার তারা জোট বেঁধে লড়েনি।

মোট ১৩০০ পুর আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই জিতেছে ৫০৯ টি আসন। জেডিএস জিতেছে ১৭৪ টি। ৩৬৬ টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লোকসভায় দুর্দান্ত ফল করা বিজেপিকে।

লোকসভা ভোটের ঠিক এক সপ্তাহ পর হওয়া পুর আসনের নির্বাচনে কি ফলের এমন উলটপূরাণ আদৌ সম্ভব? কর্ণাটকে পুর ফলের পর ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল ইভিএম নিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী নেতারা ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচনের আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন।
কর্ণাটকের পুর ভোটে কংগ্রেসের নজরকাড়া সাফল্যের পর কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে লোকসভা ভোটে বিজেপি এরকম সাফল্য পায়? আর লোকসভা ভোটে যদি কোনও কারচুপি না হয়ে থাকে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যে পুর ভোটে কীভাবে এতটা পিছিয়ে পড়ে বিজেপি? শুক্রবার কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও ফলাফল নিয়ে ট্যুইট করেন, ৪২ শতাংশ আসনে জয়ী কংগ্রেস নিশ্চিত যে রাজ্যের মানুষ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, লোকসভা নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ের পর, কীভাবে বিজেপি হেরে যায়! কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

 

Comments are closed.