সত্যি বলতে কী, ওই মামলার কথাই মনে পড়ছে না! ইলেকটোরাল বন্ড মামলা নিয়ে মন্তব্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার কথা মনেই করতে পারলেন না রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
পরিচয় গোপন রেখে ইলেক্টোরাল বন্ড কেনার মাধ্যমে কেন্দ্রের শাসকদল বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে এবং তা চরম অর্থনৈতিক অনিয়ম তৈরি করছে, এমনই সব অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০১৯ সালে যে মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
সম্প্রতি টাইমস নাও চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী বন্ড মামলা নিয়ে প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া সন্তর্পণে এড়ালেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি নির্বিবাদে বলে দিলেন, সত্যি বলতে কী, এই ইলেক্টোরাল বন্ড ইস্যুর কথা মনেই করতে পারছি না।
ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি নিয়ে বিভিন্ন মহলেই আলোচনার ঝড় ওঠে গত বছর।
ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রের শাসকদল বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এপ্রিলে মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যে অনুদান পেয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য মুখবন্ধ খামে নির্বাচন কমিশনকে দিতে হবে ২০১৯ সালের ৩০ মে- এর মধ্যে।
কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর কার্যকালে এই মামলার আর বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এডিআর সুপ্রিম কোর্টে ইলেক্টোরাল বন্ডে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চায়। সুপ্রিম কোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলাটি শুনবেন। ২০ জানুয়ারি এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া চায় সুপ্রিম কোর্ট। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনও নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানায়। এখনও চলছে সেই মামলা।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত মামলার কথা তাঁর মনে নেই বলে জানালেন রাজ্যসভার নতুন সাংসদ তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তা নিয়ে নানা মহলে হই চই শুরু হয়েছে।
Comments are closed.