Corona: লকডাউন উঠে গেলে ১ আক্রান্তের থেকে সংক্রামিত হতে পারেন ৪০৬ জন! দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তার

১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন উঠবে কি না এবং তোলা হলেও কোথায় কোথায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে তা নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা চলছে। এই প্রেক্ষিতে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চাইলেন কেন্দ্রের জয়েন্ট হেলথ সেক্রেটারি লব আগরওয়াল।

মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে লব আগরওয়াল জানান, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কিংবা লকডাউনের মতো নিষেধাজ্ঞা না থাকলে, একজন করোনা পজিটিভ রোগীর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারেন ৪০৬ জন।

তিনি জানান, R-naught বা করোনার বেসিক রিপ্রোডাক্টিভ হল ২.৫। অর্থাৎ, একজন কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্ত গড়ে ২.৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারেন। লব আগরওয়াল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) কে উদ্ধৃত করে বলেন, তারা করোনাভাইরাসের R-naught ১.৫ থেকে ৪ ধরেছে।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকের এই মন্তব্যে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। একজন আক্রান্ত থেকে ৪০৬ জন সংক্রামিত হতে পারেন, এটা ICMR এর রিপোর্ট কি না তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। এর মধ্যে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক মুখপাত্রের মাধ্যমে লব আগরওয়াল জানান, যে সংখ্যা তিনি বলেছেন তা ICMR-এর সমীক্ষা নয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় তা জানাননি।

মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং ও লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি। যেখানে এক নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, একজন আক্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ICMR এর সমীক্ষা অনুযায়ী, R-naught হবে ১.৫ থেকে ৪ এর মধ্যে।

লব আগরওয়াল বলেন, এই সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, লকডাউন অথবা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং না লাগু থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত আরও ৪০৬ জনকে সংক্রামিত করতে পারেন। তাঁর বক্তব্য, যদি সোশ্যাল এক্সপোজার ৭৫ শতাংশ কমানো যায় একমাত্র তখনই একজন করোনা আক্রান্তের মাধ্যমে ৩০ দিনে গড়ে ২.৫ জন সংক্রামিত হবেন।

ইংরেজি নিউজ পোর্টাল scroll.in এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে সংখ্যার কথা লব আগরওয়াল বলেছেন, সেটা আসলে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট এজে সিগনারের করা সমীক্ষার।

Comments are closed.